(বাঁ দিকে) মাইসুরুর সংগ্রহশালায় প্রভাসের সেই মোমের মূর্তি, ‘বাহুবলী’ ছবির একটি দৃশ্যে প্রভাস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘বাহুবলী’-এর সাফল্যের পরই রাতারাতি সর্বভারতীয় তারকা হয়ে ওঠেন প্রভাস। এই ছবি রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল সেই সময়। তবে এ বার সেই বাহুবলী প্রভাসকে নিয়ে বিতর্ক। সম্প্রতি মাইসুরুর একটি সংগ্রহশালায় বসানো হয় প্রভাসের মোমের মূর্তি। তবে এটা প্রথম নয়, ২০১৭ সালে লন্ডেন মাদাম তুসোয় বসানো হয় অভিনেতার এমনই এক মূর্তি। তবে মাইসুরুতে প্রভাসের মোমের মূর্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন ছবির নির্মাতা শোভু ইয়ারলাগাড্ডা। তার পরই বড় পদক্ষেপ মাইসুরুর সংগ্রহশালার।
‘বাহুবলী’ ছবিতে রাজামৌলী সঙ্গে ছবির সহ প্রযোজক ছিলেন শোভু ইয়ারলাগাড্ডা। তিনি এমন কাণ্ডে ব্যাপক চটেছেন ওই সংগ্রহশালার কর্তৃপক্ষের উপর। এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন তিনি। জানান, মূর্তি বসানোর আগে এই মিউজিয়াম তাঁদের থেকে কোনও রকম অনুমতি নেয়নি। পোস্টে প্রযোজক লেখেন, ‘‘এটার জন্য সরকারি ভাবে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমাদের অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে। এটা যেন সরিয়ে ফেলা হয়। না হলে ব্যবস্থা নেব আমরা।’’ এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার কাটতে না কাটতেই সিদ্ধান্ত নিল সংগ্রহশালা।
কর্তৃপক্ষ জানান, প্রযোজক যে ভাবে তাঁর ক্ষোভ জানিয়েছেন, তার পর তাঁরা প্রভাসের মূর্তি সরিয়ে দিলেন। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। তার দু’বছর পর মুক্তি পায় ছবির দ্বিতীয় ভাগ ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’। দু’টি ছবিই ঝড় তুলেছিল বক্স অফিসে। সে বছরের সব থেকে বড় হিট ছিল ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। এই ছবিই প্রভাসকে রাতারাতি সর্বভারতীয় তারকার তকমা দিয়েছে। পরিচালক এস এস রাজামৌলিকেও দিয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি।