শনিবার মহাকাল মন্দিরে পুজো দেন পরিণীতি চোপড়া এবং রাঘব চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন নায়িকা। রাজস্থানের উদয়পুরের রাজকীয় প্রাসাদে বসবে বিয়ের আসর। বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করার আগেই শনিবার মহাকাল মন্দিরে পুজো দেন পরিণীতি চোপড়া। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রীর হবু স্বামী রাঘব চড্ডা। পরিণীতির পরনে শাড়ি, আঁচল দিয়ে ঢাকা গা। রাঘবের পরনে লাল ধুতি ও উত্তরীয়, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। এই সাজ নিয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে অভিনেত্রী ও তাঁর হবু স্বামী আপ পার্টির নেতার পায়ে চটি দেখেই খেপেছেন নেটাগরিকরা। মন্দিরের ভিতরে কী ভাবে চটি পরে প্রবেশের অনুমতি মিলল, সেই নিয়ে চলছে কড়া সমালোচনা।
রাজস্থানের এক বিলাসবহুল প্রাসাদ বা হোটেলে সাত পাক ঘোরার পর একটি বা দু’টি নয়, তিনটি শহরে রিসেপশন পার্টির পরিকল্পনা রয়েছে যুগলের। দিল্লিতেই জন্ম রাঘবের। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। তাঁর বেশির ভাগ আত্মীয়-পরিজন এবং বন্ধু রাজধানীর বাসিন্দা। তাই দিল্লিতে একটি রিসেপশন পার্টি থাকছেই। তবে খাস দিল্লিতে নয়, গুরুগ্রামের এক বিলাসবহুল হোটেলে হতে চলেছে বিয়ের যাবতীয় আয়োজন। তবে বিয়ের আগে মহাদেবের আশীর্বাদ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন রাঘব-পরিণীতি।
নেটাগরিকদের কেউ কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘চটি পরে কে মন্দিরে যায়, যত ঢং’, কারও মতে, ‘চটি পরে মন্দিরে না ঢোকার নিয়ম এই ধরনের নির্লজ্জ অভিনেতাদের জন্য নয়’। কেউ কেউ আক্ষেপ করে লেখেন, ‘যত নিয়ম শুধু সাধারণ মানুষের জন্য’। যদিও এই প্রসঙ্গে রাঘব বা পরিণীতির কেউই কোনও মন্তব্য করেননি।