শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
হাতে বাকি মাত্র ১০ দিন। মুক্তি পেতে চলেছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’। প্রত্যাশার পারদ চড়ছে ভারতে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কিছু দেশে অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে বাদশার এই ছবির। অভিনেতার জীবনের প্রথম সর্বভারতীয় ছবি। মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পাবে ‘জওয়ান’। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, জার্মানি, দুবাইয়ে মুক্তি পাবে এই ছবি। পাশাপাশি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে চলেছে জওয়ান। তা-ও আবার ভারতে এই ছবি মুক্তির দিনেই। বছরের শুরুতেই মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখের ছবি ‘পাঠান’। হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে ব্যবসার দিকে নজির গড়েছে এই ছবি। তবে বাংলাদেশে মুক্তি পায় ভারতে এই ছবি মুক্তির প্রায় মাস দু’য়েক পড়ে। তবে এ বার ‘জওয়ান’-এর ক্ষেত্রে তেমনটার অবকাশ নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
আমদানির ভিত্তিতে সিনেমাটি মুক্তির জন্য বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছে। ‘জওয়ান’ বাংলাদেশে আমদানি করছেন অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও রংধনু গ্রুপ। অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষে আমদানিকারক অনন্য মামুন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রবিবার দুপুরে আমদানি-রফতানি কমিটি বাংলাদেশে ছবিটি আনার অনুমতি দিয়েছে। তবে কমিটি চায়, যাতে একই সঙ্গে বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি পায়। আমরা এ ব্যাপারে জোর চেষ্টা করছি। তবে কোনও কারণে যদি একই দিনে মুক্তির সমস্যা হয়, তা হলে এক দিন পিছিয়ে বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর ‘জওয়ান’ মুক্তি পাবে।’’
‘জওয়ান’-এর আগে ‘পাঠান’ ও ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিটি মুক্তি পায় বাংলাদেশে। তবে সে ভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করতে পারেনি। কারণ ভারতে মুক্তি পাওয়ার অনেক পরে সে দেশে মুক্তি পায় এখানকার এই দুই ছবি। তাই ‘জওয়ান’-এর ক্ষেত্রে তাঁর পুনরাবৃত্তি চান না সে দেশের তথ্য মন্ত্রণালয়। হল বাঁচানোর জন্য ছবি আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেটা কাজে আসছে না। সে কারণেই সে দেশের কমিটি চায় আমদানির ছবিগুলি দুই দেশে একই সময়ে মুক্তি পাক।
নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে ভারতের ছবি মুক্তি পেলে বিনিময়ে সে দেশের একটি ছবি মুক্তি পাবে ভারতে। ‘জওয়ান’ বাংলাদেশ আমদানি করছে। পরিবর্তে ভারতের এসএস আর এন্টারটেইনের কাছে বাংলাদেশ থেকে ‘নবাব এলএলবি’ ছবিটি রফতানি করা হয়েছে।