রায়ান গজ়লিং ও মার্গো রবি। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত ছবি ‘বার্বি’। ‘লেডি বার্ড’, ‘লিটল উইমেন’-এর পর গ্রেটার তৃতীয় ছবি ‘বার্বি’। এই ছবির মাধ্যমে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীবাদের পাঠ পড়িয়েছেন গ্রেটা। গুরুগম্ভীর জ্ঞান বিতরণের বদলে সহজ-সরল ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি। ছবির মুখ্য চরিত্রে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মার্গো রবি ও অভিনেতা রায়ান গজ়লিং। নারীবাদের পাশাপাশি ছবিতে জায়গা পেয়েছে এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর সম-অধিকারের প্রসঙ্গ। ছবির ‘মুডবোর্ড’-এও দেখা গিয়েছে তার ছাপ। সেই প্রসঙ্গেই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল একাধিক ইসলামি দেশ-সহ রাশিয়াও।
২১ জুলাই ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’-এর পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে গ্রেটার ছবি ‘বার্বি’। ভারতে ‘ওপেনহাইমার’ নিয়ে হইচই বেশি হলেও গোটা বিশ্বে নোলানের ছবিতে টেক্কা দিয়ে ব্যবসা করছে ‘বার্বি’। পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে গ্রেটার সহজ ভাবে গল্প বলার দক্ষতা, ছবির হালকা মেজাজ ও অভিনেতাদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের জোরে বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে মার্গো রবি ও রায়ান গজ়লিং-এর ছবি। নারীবাদের প্রকাশ এবং এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর সমানাধিকারের বার্তাতেই আপত্তি ইসলাম ধর্মপ্রধান একাধিক দেশের। পাকিস্তান ও ইরানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ছবি প্রদর্শনের উপরে। শুধু এই দেশগুলিই নয়, রাশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সেও বন্ধ করা হয়েছে ছবির প্রদর্শন। ইরানে ছবি প্রদর্শনের উপরে পাকাপাকি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও পাকিস্তানে সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে ‘বার্বি’।
পাকিস্তানের পঞ্জাব সেন্সর বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ছবি থেকে ‘আপত্তিকর’ বিষয় বাদ দিয়ে দিলেই ফের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ওই ছবি। আপাতত ছবি খতিয়ে দেখতে ব্যস্ত পঞ্জাব সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। খবর, সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করার পরে মুক্তি পাবে ‘বার্বি’ ছবির একটি সংস্করণ। তার পরেই পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে গ্রেটা পরিচালিত এই ছবি।