পদ্মা সেতু এ বার বড় পর্দাতেও।
পদ্মা সেতু নিয়ে আনন্দে ভাসছেন বাংলাদেশের মানুষ। দীর্ঘ লড়াই পেরিয়ে এই সেতু নির্মাণকে বাংলাদেশ নিজের জয় হিসেবে দেখেছে। সেই আবেগের কাহিনিতেই এ বার নবতম সংযোজন এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হওয়া একটি চলচ্চিত্র। ছবির পরিচালনায় আলি আজাদ।
কথা ছিল, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং অন্য কয়েকটি দাতা সংস্থা পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণ দেবে। নানা কারণে সেই ঋণ মেলেনি। বাংলাদেশ সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয়, ঋণের দরকার নেই, দেশের টাকাতেই নির্মাণ করা হবে পদ্মা সেতু। দীর্ঘ টানাপড়েন পেরিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে সেই স্বপ্নের প্রকল্প। এ কারণেই পদ্মা সেতু ঘিরে এত আবেগ, এত চর্চা।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সঙ্গীতশিল্পী, চলচ্চিত্র শিল্পী, কবি-সাহিত্যিকেরা সকলেই এই সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বিশিষ্ট কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতাটি মুখে মুখে ফিরছে— ‘আমরা দুরন্ত দুর্বার পদ্মাবতীর কণ্ঠে/ পরিয়ে দিয়েছি এই স্বর্ণসেতুহার…’। পদ্মা সেতু নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক গানও।
কবিতা, গানের পরে এ বার চলচ্চিত্র। পদ্মা সেতুকে ঘিরে তৈরি এই ছবির নাম ‘পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু’। আলি আজাদের পরিচালনায় জুন মাসেই ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল। টানা শ্যুটিং চলে শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর পাড়ে। ছবিটি নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘‘পদ্মা সেতুকে নিয়ে আমার প্রত্যয় এবং অহঙ্কারের একটি গল্প বলতে চেয়েছি।’’
ছবিতে অভিনয় করেছেন সঞ্জু জন, অলিভিয়া মাইশা, রায়হান মুজিব, হিমেল রাজ, খুকু, আনোয়ার সিরাজি, শান্তা পাল প্রমুখ। কাজি সাইমুল হক নিবেদিত চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা বড়ুয়া মনোজিৎ ধীমনের। ছবির ডাবিং ও পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজও হয়েছে ঝড়ের বেগে। সেন্সর বোর্ড ছাড়লেই দর্শকের কাছে দ্রুত ছবিটিকে পৌঁছে দিতে চান পরিচালক আলি আজাদ। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই মুক্তির অনুমতিপত্র পেয়ে যেতে পারে ‘পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু’।