নীল-তৃণা
ঘড়িতে বেলা সাড়ে বারোটা। ফোন করতেই ওপারে ঘুম জড়ানো গলা তৃণা সাহার। মঙ্গলবার রাতভর হুল্লোড়! নীল ভট্টাচার্য তার মাত্র মিনিট পাঁচেক আগে চোখ মেলেছেন। ৮ জুন তাঁর দিন। আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই নীলের হয়ে শুভ কামনা নিলেন তাঁর অর্ধ্বাঙ্গিনী।
নেটমাধ্যম বলছে, ‘তৃনীল’-এর আগাম জন্মদিন উদ্যাপনের দোসর ছিলেন রাজীব বসু, সস্ত্রীক ভিভান ঘোষ, রণজয় বিষ্ণুর মতো এই প্রজন্মের অভিনেতারা। ছিলেন দুই পরিবারও। কালো রঙের স্যুট আর জিন্সে ‘স্মার্ট’ টেলিপাড়ার ‘জিতু’। একই রঙের হাতাকাটা গাউনে যোগ্য সঙ্গিনী তৃণা। কেক কাটা, দেদার খানাপিনায় আরও এক বার ‘রঙিন’ বার্থডে বয়। অভিনেতার হাতে তখন ঝকমক করছে বৌয়ের কিনে দেওয়া নতুন বড় মাপের আই ফোন!
এটা না হয় আগের রাতের গপ্পো। দিনের দিন কী ভাবে উদ্যাপিত হবে? তৃণার কথায়, ‘‘আমি নীলকে বলেই দিয়েছিলাম, জন্মদিনের আগের রাত আমার। আমি সেই মতো তোমায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চমকে দেব। জন্মদিনের দিনটা তোমার। নিজের ইচ্ছেমতো কাটিও এ দিনটা।’’
নীলের তাই আজ কাজ থেকে ছুটি। আজ তাঁর নিজেকে আরও এক বার নতুন করে ভালবাসার দিন। সপরিবারে সবার সঙ্গে কাটাবেন তিনি। স্নান সেরে নতুন জামা পরবেন। কিচ্ছু ক্ষণ আড্ডা, খুনসুটি। তার পরেই দুপুরের ভোজ। নায়িকা স্ত্রীর দাবি, আগের রাতে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া হয়েছে। এ দিন তাই তাঁর শাশুড়ি ছেলের জন্য হালকা পদ রেঁধেছেন। বাঙালি খাবার পাতে সাজিয়ে দেবেন। থাকবে সুক্তো, ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, মাংসের বিশেষ পদ, কাঁচা আমের চাটনি, আম, মিষ্টি। পায়েস ছাড়া তো জন্মদিন অসম্পূর্ণ!
বিকেলে সম্ভবত ‘জিতু’ সাজবেন শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওয়া পোশাকে। আহ্লাদি গলায় তৃণা ফাঁস করেছেন, ‘‘জামাইষষ্ঠীর পরেই ওর জন্মদিন। তাও উপহারের ঝুলি ফাঁকা থাকে না। মা নীলকে ঘড়ি আর জামা দিয়েছে। বিকেলে হয়তো ওটাই পরবে।’’ তার পরে ভবানীপুরে যাবেন যুগলে। ৭০ জন দুঃস্থ শিশুকে পেট পুরে ভাল-মন্দ খাওয়াবেন। বেশ কিছুক্ষণ সময়ও কাটাবেন তাঁদের সঙ্গে। সেখানেও কেক কাটা হবে। বাকি সময় পরিবার, বন্ধু আর তৃণার দখলে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।