লখনউয়ের ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া রাজের?
কাকভোরে বাবার পিস্তল থেকে মায়ের মাথায় গুলি। পাবজি খেলতে বাধা পেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিল বছর ১৬-র কিশোর। লখনউয়ের পঞ্চমখেদা যমুনাপুরম কলোনির ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মোবাইল গেমের নেশার সর্বনাশা রূপ। এ বিষয়টাই সম্প্রতি উঠে এসেছে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘হাবজি গাবজি’তে। লখনউয়ের ঘটনা নিয়ে কী বলছেন তিনি?
দিনভর মা-বাবাদের ব্যস্ততা, সন্তানদের ঠিকমতো সময় দিতে না পারা বাড়িয়ে তুলেছে শিশুদের ‘ভার্চুয়াল’ জগতের প্রতি আকর্ষণ। এবং সে প্রবণতা বাড়ছে রোজই। কোভিড-লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে আরও বেশি করে মোবাইল গেমের নেশায় ডুবে ছোটরা। সে চিত্র নিজের ছবিতে ধরেছেন রাজ। লখনউ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে বিধায়ক-পরিচালক বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনাগুলোই আমাকে ‘হাবজি গাবজি’ তৈরির সাহস জুগিয়েছে। আমার ছবি কিন্তু সত্য ঘটনা অবলম্বনে। হয়তো এমন ঘটনা পরেও ঘটবে। কিন্তু এই কয়েক দিনেই ছবিটা মা-বাবা এবং সন্তানদের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।”
ছবি মুক্তির পর থেকেই বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ঘুরছেন পরিচালক। কথা বলছেন দর্শকদের সঙ্গে। তা করতে গিয়ে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতাও হচ্ছে। রাজের দাবি, “আমার হাত ধরে মা-বাবারা কাঁদছেন। একজন মা এসে বলেছেন, গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় চাকু নিয়ে মারতে এসেছে বাচ্চা। আবার অনেক বাচ্চা এসে আমায় বলছে, কেন এমন ছবি তৈরি করেছ তুমি? মা-বাবা আমাদের আর ফোন ঘাঁটতে দিচ্ছে না!”
রাজের মতে, একমাত্র মা-বাবাদের সময়ই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। সেই সময়ের অভাবই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের সন্তানকে বড় করে তোলার ক্ষেত্রে এমনটা হতে দিতে চান না বিধায়ক-পরিচালক। ছেলে ইউভানকে তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় দেন রাজ-শুভশ্রী। শুধু বাড়িতে খেলাধুলো নয়, রোজ নিয়ম করে ইউভানকে মাঠেও নিয়ে যান তাঁরা। তাঁর পরামর্শ, মা-বাবারা যদি সন্তানদের একটু বেশি সময় দেন বাড়িতে, তা হলেই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।