Kriti Sanon

নিজের দোষেই ভুগেছিলেন কোভিডে, ঠেকে শিখেই ‘বদঅভ্যাস’-এ বদল আনেন কৃতি

গত মাসেই তাঁর মুকুটে জুড়েছে নতুন এক পালক। ‘মিমি’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন কৃতি শ্যানন। সেই আনন্দের ঘোর এখনও কাটেনি নায়িকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মু্ম্বই শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩২
Kriti Sanon.

কৃতি শ্যানন। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডের এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। সম্প্রতি সেরা অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিজের নামের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন কৃতি। ফিল্মি পরিবারের কন্যা নন, বহিরাগত হিসাবেই বলিউডে পা রেখেছিলেন কৃতি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় থেকেই মডেলিং করতেন। স্বপ্ন ছিল, এক দিন সফল বলিউড অভিনেত্রী হবেন। অভিনয় জীবনের এক দশক পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজেকে সফল অভিনেত্রী হিসাবে বলিউডে প্রতিষ্ঠা করেছেন কৃতি। তার জন্য কম তপস্যা করতে হয়নি তাঁকে। কঠিন অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের পরেই এই উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছেন তিনি। তার পরেও এখনও বেশ কিছু বদঅভ্যাস রয়ে গিয়েছে কৃতির। অভিনেত্রী জানান, তেমনই এক স্বভাবের জেরেই কোভিডের কোপে পড়েছিলেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৃতি জানান, পরিচিত কারও থেকে খাবার নিয়ে খাওয়ার আগে এক বারও ভাবেন না তিনি। এমনকি, তাঁদের থালা থেকেই তুলে খাবার খেয়ে নেন। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁর নাকি বাছবিচার ও অহমিকাবোধ নেই। তাই অন্যের এঁটো খাবার খাওয়ার আগেও নাকি বিশেষ ভাবনাচিন্তা করেন না তিনি। নিজের এই স্বভাবের কারণেই নাকি প্রথম ঢেউয়ের সময় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, জানান কৃতি। ২০২০ সালের শেষের দিকে কোভিডের কোপে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমের পাতাতেই জানিয়েছিলেন সেই খবর। যদিও, খুব একটা বেশি দিন ভুগতে হয়নি তাঁকে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলায় খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

সেই ঘটনা থেকে কি তার পর শিক্ষা নিয়েছেন কৃতি? না কি এখনও অন্যদের থালা থেকে নিয়েই খাবার খান তিনি? সেই প্রশ্নের উত্তর যদিও অজানা। তবে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে যে খেয়াল রাখেন তিনি, তা স্পষ্ট সমাজমাধ্যমের পাতায় তাঁর শরীরচর্চার ঝলক থেকেই। ‘মিমি’ ছবিতে সন্তানসম্ভবা নারীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অনেকটা ওজন বাড়াতে হয়েছিল তাঁকে। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যায়াম করে সেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলেন কৃতি।

আরও পড়ুন
Advertisement