সইফের বাড়ি ফের গেল ধৃত শরিফুল, হল ঘটনার পুননির্মাণ। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবারই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সইফ আলি খানের হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহাজ়াদ। ধৃত শরিফুল নাকি বাংলাদেশের নাগরিক, এমনই দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ। এর মাঝেই শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন অভিনেতা। তিনি বাড়ি ফেরার আগে সইফের বান্দ্রার বাড়ি ‘সৎগুরু শরণ’-এ নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতকে। সেখানে বুধবার মধ্যরাতে সইফের বাড়িতে অনুপ্রবেশের গোটা ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়। নতুন করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সোমবার রাতে ধৃত শরিফুলকে নিয়ে যাওয়া অভিনেতার বাড়িতে। সেখানেই ধৃত দাবি করেন, প্রথমে অভিনেতার বাড়ির ১০ তলার স্নানঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তার পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের নিষ্কাশন নালির সাহায্যে উপরে উঠে পড়েন।
ওই আবাসনের তিনটি তলা নিয়ে সইফ-করিনার বাস। আবাসনের অন্য বাসিন্দারাও সমাজের গণ্যমান্য। এমন অভিজাত আবাসনের মূল ফটকে কি রক্ষী ছিলেন না? ছিল না নজরদারি ক্যামেরা? প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে ওই অভিজাত আবাসনে ঢুকে পড়লেন শরিফুল?
পুলিশ অবশ্য এর খানিক উত্তর দিয়েছে। তদন্তের পর পুলিশে দাবি, অভিনেতার বাড়ির আপৎকালীন দরজায় নজরদারি ক্যামেরা সক্রিয় থাকলেও মূল প্রবেশদ্বারের ক্যামেরাগুলি ছিল অকেজো। কিন্তু তাতেও সন্দেহের নিরসন হয় না। এমন আবাসনে দিনের পর দিন নজরদারি ক্যামেরা কেন খারাপ হয়ে রইল? একা শরিফুলই কি ঢুকেছিলেন, তিনি একাই কি এত কিছু করলেন না কি নেপথ্যে অন্য কেউ? যদিও ধৃত শরিফুল নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি দাবি করেছেন, তিনি নাকি জানতেনই না কার বাড়িতে ঢুকেছেন। তবে কি শুধুই ডাকাতির উদ্দেশ্যে আচমকা ঢুকে পড়েন এই ব্যক্তি? যদিও বেশ কিছু ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে এই ঘটনায়।