Coal Case

কয়লাকাণ্ডে বিচার শুরু আসানসোল আদালতে, কোল ইন্ডিয়ার দুই আধিকারিকের সাক্ষ্যগ্রহণ

২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন আবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে মোট ৫০ জনের নাম ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৩
কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে মোট ৫০ জনের নাম ছিল।

কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে মোট ৫০ জনের নাম ছিল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কয়লাকাণ্ডে মঙ্গলবার বিচার শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে। কোলিয়ারির ১২ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাঁদের মধ্যে ন’জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছিল কোল ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার সেই মামলাতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কোল ইন্ডিয়ার দুই শীর্ষ আধিকারিক উপস্থিত হন শুনানিতে। তাঁদের মধ্যে এক জন দিল্লি থেকে এসেছেন, দ্বিতীয় জন কোল ইন্ডিয়ার রাজ্যস্তরের আধিকারিক। তাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। ওই আধিকারিকদের প্রশ্ন করেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ। এর পর সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারও প্রশ্ন করেছেন। কোল ইন্ডিয়ার অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন আবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে মোট ৫০ জনের নাম ছিল। কিন্তু এই মামলায় অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র পলাতক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা যায়নি। অন্য দিকে, ২৫ নভেম্বরের শুনানিতে বিনয়ের ভাই বিকাশকে সশরীরে বা ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো যায়নি। সেই কারণে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া আরও এক দফা পিছিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, এই মামলায় যে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই শর্তাধীন জামিনে রয়েছেন।

চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে যে, অভিযুক্তেরা প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন কয়লা চুরি এবং পাচার করেন। এর ফলে সরকারের ১,৩৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় বলে জানানো হয়। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই চুরি এবং পাচারের ঘটনা ঘটে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২০ সালে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। রাজ্যে রেলের বিভিন্ন সাইডিং এলাকা থেকে কয়লা চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রথমে আয়কর দফতর, তার পরে সিবিআই কয়লাকাণ্ডের তদন্তে নামে। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন