—ফাইল চিত্র।
বুধবার রাত তখন আড়াইটে-তিনটে হবে। বান্দ্রা লিঙ্কিং রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভজন সিংহ রানা। সইফ আলি খান ও করিনা কপূর খানের বাসভবন সৎগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টের কাছ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখেন, সামনে এক মহিলা। চিৎকার করছেন, ‘‘রিকশা! রিকশা’’ বলে। তত ক্ষণে সেফের বহুতলের ফটক থেকেও এক মহিলা কণ্ঠস্বর শুনতে পান অটোচালক। গেট পেরিয়ে একটু এগিয়েই গিয়েছিলেন ভজন। ডাকাডাকি শুনে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে বহুতলের দরজায় অটো থামান। সাদা কুর্তা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নিজের পরিচয় দেন সইফ। কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন অটোচালক ভজনকে। কথা রাখেন চালক। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে নিয়ে যান লীলাবতী হাসপাতালে। এ বার তার জন্য পুরস্কার পেলেন অটোচলাক।
ভজন সিংহ রানাকে ১১,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছে এক সংস্থার তরফ থেকে। পরিস্থিতির গভীরতা বুঝে মাত্র মিনিট দুয়েকের মধ্যে সইফকে হাসাপাতালে নিয়ে আসার জন্য। পুরস্কার পাওয়ার পর ভজন বলেন, ‘‘ওই সময় আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কত দ্রুত আমি ওঁকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারব সেটাই করেছি। সেই সময় তো বুঝতেও পারিনি অত বড় তারকা আমার অটোতে বসেছে। তখন ভাড়া চাওয়ার কথাও মাথায় আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে সাহায্য করতে পারা পুরস্কারের সমান।’’