মৌনী রায়। ছবি: সংগৃহীত।
ছোট পর্দা থেকে অভিনয়ের সফর শুরু। বড় পর্দাতেও বেশ কিছু কাজ করে ফেলেছেন মৌনী রায়। তবে, ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের আগেই নাকি মৌনী ভেবেছিলেন, তাঁর জীবন শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী।
মৌনী জানিয়েছেন ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে কাজ করার আগে তাঁর ৩০ কেজি ওজন বেড়ে যায়। সেই ওজন কমানোর পদ্ধতি জানিয়েছেন তিনি। তবে খাওয়া কমালেই ওজন কমে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় বলেও জানান মৌনী। তাঁর কথায়, “আমি অনেক কিছু করেছিলাম। সাত-আট বছর আগের কথা। আমি ব্যথা কমার ওষুধ খেতাম। আমার ‘স্লিপ ডিস্ক’-এর সমস্যা ছিল। অসুস্থতার কারণে আমি তিন মাস শয্যশায়ী ছিলাম। এই কারণে আমার ৩০ কিলোগ্রাম ওজন বেড়ে যায়। ভেবেছিলাম, আমার জীবন বোধহয় এখানেই শেষ হয়ে গেল!”
মৌনী জানান, সেই সময় তিনি সকলের চোখের আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “আমাকে কিন্তু সেই সময় কেউ দেখতে পায়নি।” ওজন কমানোর বিষয় অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভাবতাম, কী ভাবে আমি ওজন কমাব। একটা সময় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিই। কিছুটা ওজন কমেছিল। খাবার খাওয়াও অনেকটা কমিয়ে দিই। শুধু ফল, সবজির রস খেতাম। মেজাজ ভাল থাকত না। তার পর নিজেই বুঝতে পারি, এটা ওজন কমানোর অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতি। বুঝতে পারলাম, খাবার খেতেই হবে। আমি আসলে অনেকটা খাবার খেতাম আগে। তিন জনের খাবার একা খেতে পারতাম। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলাম।”
এর পরেই এক পুষ্টিবিদের কাছে যান মৌনী। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া শুরু করেন। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘গোল্ড’, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ছবিতে কাজ করেছেন মৌনী।