(বাঁ দিকে) ‘দেবী চৌধুরাণী’র পোস্টার, বিধায়ক দেবাশিস কুমার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ছোটবেলায় পাড়ায়, স্কুলের নাটকে অনেক অভিনয় করেছেন। বড় হওয়ার পরে ইচ্ছে থাকলেও আর মঞ্চাভিনয় করা হয়নি। কারণ, ব্যস্ততা। রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন তাই ব্যস্ততাও বেড়েছে। মঞ্চাভিনয় থেকে দূরত্বও বেড়েছে। সেই বিধায়ক দেবাশিস কুমার ফের মঞ্চে। খবর, প্রান্তিক চৌধুরীর যাত্রার আঙ্গিকে নাটক ‘দেবী চৌধুরাণী’তে তিনি ব্রজেশ্বরের শ্বশুরমশায়। এই চরিত্রে এর আগে অভিনয় করেছিলেন মঞ্চ ও পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই চমকের শেষ নয়। যে হেতু যাত্রার আঙ্গিকে নাটক তাই নায়িকার ভূমিকায় যাত্রার খ্যাতনামী অভিনেত্রী কাকলি চৌধুরী। ‘ভবানী পাঠক’-এর চরিত্রে অনল চক্রবর্তী। এ ছাড়াও সৌমিত্র মিত্র, বিশ্বজিৎ সরকার, ন্যান্সি, সম্রাট বিশ্বাস, সায়ন ঘোষের দেখা মিলবে। যাত্রার আঙ্গিকে এই নাটকটি মঞ্চস্থ হবে ১৬ ও ১৭ অগস্ট, উত্তর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির নাটমন্দিরে। পরিচালনায় প্রান্তিক চৌধুরী।
হঠাৎ এই অভিনব ভাবনা কেন? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন ছিল প্রান্তিকের কাছে। পরিচালকের কথায়, “কলকাতার জন্মদিন এবং স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করতেই এই আয়োজন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে স্বাধীনতার আগে ভারতে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের কথা বলা হয়েছে। সেই জন্যই আরও এই উপন্যাসটিকে বেছে নিয়েছি। ঔপন্যাসিক প্রথম দুই মলাটে স্বদেশি আন্দোলনের কথা তুলে ধরেছিলেন।
পরিচালক আরও জানিয়েছেন, ‘দেবী চৌধুরাণী’র যে নাট্যরূপটি ব্যারাকপুর ব্রাত্যজনের সহযোগিতায় তাঁরা মঞ্চস্থ করতে চলেছেন তাঁর নাট্যভিত্তি মহেন্দ্র গুপ্তের রচনা। তাকে আধুনিক চেহারা দিয়েছেন সম্রাট মুখোপাধ্যায়। এ বছর মহেন্দ্র গুপ্তের প্রয়াণের ৪০ বছর। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটারের নাট্য-কর্ণধার। নাটক মঞ্চস্থ করে তাঁকেও শ্রদ্ধা জানাবে নাট্যগোষ্ঠী।
এক দিকে, বিধানসভার অধিবেশন। অন্য দিকে, নাটকের মহড়া, সংলাপ মুখস্থ করা। সামলাচ্ছেন কী করে? দেবাশিস কুমারের সহাস্য জবাব, “সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকা মানে বাড়তি অক্সিজেন ফুসফুসে ভরে নেওয়া। তারই উদ্দীপনায় এগিয়ে চলেছি।”