(বাঁ দিকে) সইফ আলি খান। পোশাকশিল্পী অভিষেক রায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খানের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক। তাই সকাল সকাল অভিনেতার ছুরিকাহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন কলকাতার পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়। সকাল থেকেই সইফের পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন অভিষেক।
গত কয়েক বছর ধরেই সইফের জন্য বাঙালি পোশাক পরিকল্পনা করছেন অভিষেক। সেই সূত্রেই দু’জনের সখ্য গড়ে উঠেছে। অভিষেককে পছন্দও করেন ‘ছোটে নবাব’। এমনকি অভিষেকের সংস্থার নতুন লোগোও নিজে বেছে দিয়েছেন তিনি। অভিনেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই ভেঙে পড়েছেন অভিষেক। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে পোশাকশিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘খবরটা পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম। প্রথমে বিশ্বাস করিনি। কী ভাবে এটা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।’’
মুম্বইয়ে লীলাবতী হাসপাতালে সইফের অস্ত্রোপচার চলছে। অভিনেতার ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অভিষেক। বললেন, ‘‘হরির (সইফের সহকারী) সঙ্গে কথা হচ্ছে। অনেকগুলি আঘাত। প্রথম অস্ত্রোপচারটা হয়ে গিয়েছে শুনলাম। আরও কয়েকটি হওয়ার কথা। পরিবারের সকলেই হাসপাতালে রয়েছেন।’’
অভিষেক জানালেন, তিন দিন আগেই সইফের সঙ্গে ফোনে তাঁর একপ্রস্ত কথা হয়েছে। কাজের সূত্রে তাঁদের এর মধ্যে দেখা করারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার পরেই এই দুসংবাদ। মুম্বইয়ের বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে সইফের বাড়িতে একাধিক বার কাজের সূত্রে গিয়েছেন অভিষেক। বলিউডের প্রথম সারির এক জন অভিনেতার বাড়িতে চুরির চেষ্টা। সইফ আক্রান্ত হওয়ার পর উঠছে প্রশ্ন। অভিষেকও বিস্মিত। বললেন, ‘‘আবাসনের তিনটে তলা নিয়ে থাকেন সইফ। ওই আবাসনে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা অসম্ভব। তার পরেও কী ভাবে এটা ঘটল জানি না।’’
এই মুহূর্তে, সইফকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে নানা খবরের ছড়াছড়ি। অভিষেকের অনুমান, ‘‘শুনছি, সন্তানদের পরিচারিকার গলা পেয়েই সইফ ছুটে যান। তার পরেই ঘটনাটি ঘটে। এখন বাড়িতে কারা ছিলেন, কারা ছিলেন না, সেগুলি তো কিছুই জানা যাচ্ছে না।’’
বৃহস্পতিবার সারা দিন খান পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন অভিষেক। বললেন, ‘‘আমি শুধু চাই, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’’ পোশাকশিল্পী জানালেন, সইফ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর চিকিৎসকের অনুমতি মিললে, তার পর তিনি অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই যাবেন।