বাবার সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন ইব্রাহিম খান। করিনা কপূর খান সে সময় বাড়ি ছিলেন কি না অবশ্য জানা যায়নি। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝরাতে বাড়িতে হামলা, সইফ আলি খানের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান এবং এক পরিচারক। প্রাথমিক ভাবে সইফের বাহুতে আঘাত লেগেছে বলে জানান হলেও পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তাঁর ঘাড়েও একটি আঘাত রয়েছে। আপাতত অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে অভিনেতার।
কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যরা কেমন আছেন এখন, তা জানা যায়নি প্রাথমিক ভাবে। সেই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সইফের স্ত্রী, অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। করিনার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “করিনা ও সইফের বাড়িতে চুরির চেষ্টা চালানো হয় গতকাল রাতে। বাহুতে চোট লাগার কারণে সইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অস্ত্রোপচার হচ্ছে। পরিবারের বাকি সকলে নিরাপদ। সংবাদমাধ্যম ও অনুরাগীদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করছি। দয়া করে কোনও জল্পনা করবেন না। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ধন্যবাদ।”
মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার চলছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। চিন্তিত অনুরাগীদের অনেকেরই প্রশ্ন, কী ভাবে আক্রান্ত হলেন সইফ। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ার পরে তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান সইফ। সেই সময় বলিউড অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। পরিবারের কয়েক জন সদস্যও সেই সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।