(বাঁ দিকে) শ্রীময়ী চট্টরাজ। কাঞ্চন মল্লিক (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সবে পাঁচ মাস হয়েছে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। বিয়ের পর থেকেই ব্যস্ত কাঞ্চন। কারণ, লোকসভা নির্বাচন। নিজে উত্তরপাড়ার বিধায়ক। সেই কারণে দায়িত্ব রয়েই যায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে। নিজের কেন্দ্র ছাড়াও অন্য কেন্দ্রে গিয়েও প্রচার সারেন কাঞ্চন। পেশাগত দায়বদ্ধতার কারণে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হয়নি তাঁর। সেই নিয়ে বিধায়ক-অভিনেতার স্ত্রী শ্রীময়ী আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকারে খানিক নালিশই করেন। কিন্তু, শ্রীময়ীর মনের কথা জানতে পেরেই দিন কয়েকের মধ্যেই অভিনেত্রীকে তাজপুর বেড়াতে নিয়ে যান অভিনেতা। এর মাঝেই ছিল শ্রীময়ী জন্মদিন। সেই পর্ব মিটতে না মিটতেই স্ত্রীকে নিয়ে কেন দক্ষিণ ভারত রওনা দিলেন কাঞ্চন?
রবিবার ৩০ জুন ছিল শ্রীময়ীর জন্মদিন। স্বামী যে ভালবাসায় তাঁকে ঘিরে রাখেন, সে কথা একাধিক বার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন শ্রীময়ী। আর এ বার স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে বিশেষ পোস্ট করেছেন কাঞ্চন। জানিয়েছেন, শ্রীময়ীই তাঁর জীবনটা গুছিয়ে দিয়েছেন। শ্রীময়ীর জন্যই নতুন করে তিনি বাঁচতে শিখেছেন। বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিনে শ্রীময়ীকে একটি ঘড়ি উপহার দিয়েছেন কাঞ্চন। রাত ১২টা বাজতেই মা-বাবা ও কাঞ্চনকে পাশে নিয়ে জন্মদিনের কেক কেটেছেন শ্রীময়ী। অভিনেত্রী নিজেই সেই মুহূর্ত ও উপহারের ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন। তার পর দুপুরে ছিল ভূরিভোজ পর্ব। সেই সব মিটিয়ে কত্তা-গিন্নি ফের চললেন মধুচন্দ্রিমায়। শোনা যাচ্ছে, এ বার দক্ষিণ ভারতেই ক’টা দিন একান্তে কাটাবেন যুগল।
সপ্তাহখানেক আগে যখন তাঁরা তাজপুর ভ্রমণে যান, সেই সময় সঙ্গে ছিল শ্রীময়ীর পরিবার। তবে এ বার শুধুই তাঁরা দু’জনে। সোমবার সকালে বিমানবন্দরের ভিতর থেকে বেশ কিছু ছবি দিয়ে শ্রীময়ী লেখেন, ‘‘যাত্রা শুরু, অবশেষে অপেক্ষার অবসান। এল মধুচন্দ্রিমার সময়।’’