‘ব্যোমকেশ’ হিসেবে কাউকেই এগিয়ে রাখতে রাজি নন যিশু।
তাঁরা তিন জনেই পর্দার ব্যোমকেশ বক্সী। আবীর চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং যিশু সেনগুপ্ত। কিন্তু শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রে কাকে সব চেয়ে ভাল মানায়? নিজের সঙ্গে দুই সহকর্মীর প্রতিযোগিতায় কাকে এগিয়ে রাখবেন যিশু? শনিবারের আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ ‘অ-জানাকথা’য় এই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা।
খানিক হেসে ইয়ার্কির সুরে যিশুর জবাব, “নিজের যখন বাজার আছে, অন্যদের কেন ছাড় দেব? এখনও আমার কাছে ব্যোমকেশ হওয়ার সুযোগ আছে। তাই নিজেকেই নম্বর দেব।”
অনির্বাণ অভিনীত ব্যোমকেশের ছবি এখনও দেখে উঠতে পারেননি যিশু। তবে আবীরকে নিয়ে বক্তব্য জানিয়েছেন ‘বাবা, বেবি ও...’-র অভিনেতা। বললেন, “অরিন্দমদা (শীল) পরিচালিত ‘ব্যোমকেশ’ দেখিনি। তবে অঞ্জনদা (দত্ত) পরিচালিত ছবিগুলির মধ্যে দু’টি দেখেছি। এর পরে আমি নিজে যখন ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলাম, আমার বউ বলেছিল, এর থেকেও ভাল অভিনয় করতে পারলে, তবেই যেন রাজি হই। আবীর চরিত্রটির সঙ্গে সুবিচার করেছে। আমিও চেষ্টা করেছি একটু আলাদা ভাবে চরিত্রটা করার।”
‘ব্যোমকেশ’ হিসেবে কাউকেই এগিয়ে রাখতে রাজি নন যিশু। তবে বললেন, “ব্যোমকেশ হিসেবে আমি নিজেকেও নম্বর দেব। ‘ব্যোমকেশ’ হয়ে আমি যে তিনটি ছবি করেছি, সেই তিনটি ছবিই চলেছে। প্রযোজক তাঁর টাকা ফেরত পেয়েছেন। ভাল দামে স্যাটেলাইটও বিক্রি হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, আমি ভাল বলে অন্যরা খারাপ।”