বাবাকে নিয়ে কথা বললেন যিশু
তাঁর বাবাও অভিনেতা। স্টুডিয়োপাড়ায় নামডাক ছিল উজ্জ্বল সেনগুপ্তের। কিন্তু বাবার কাছ থেকে কোনও দিন সাহায্য চাননি যিশু সেনগুপ্ত। নিজেকে স্বজনপোষণের ফসল হিসেবে চিহ্নিত করতে রাজি নন অভিনেতা। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানাকথা’য় নিজের পেশার সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা যিশু।
অভিনেতার কথায়, ‘‘আমার বাবা-মা কোনও দিনই কোনও কিছুতে আমায় জোর করেননি। নিজের মতো করে জীবন যাপন করতে দিয়েছেন।’’
‘‘স্টুডিয়ো পাড়ায় আমায় বাবা বলে ডাকবে না। উজ্জ্বলদা বলেই ডেকো,’’- বাবার এই নির্দেশ মেনে চলতেন যিশু। হাঁটতে চলতে দেখা হলে প্রয়াত অভিনেতা তাঁর ছেলেকে মশকরা করে বলতেন, ‘‘কেমন আছো? বাড়িতে সবাই ভাল তো?’’ পাল্টা মশকরা করতেন যিশুও, ‘‘হ্যাঁ সবাই ভাল। আপনার বাড়িতে বউ-বাচ্চা সবাই ঠিক আছে তো?’’ বাবা-ছেলের এমন খুনসুটি দেখতে অভ্যস্ত ছিল টলিপাড়া।
বাবা ছেলের পাশে থাকবেন। কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়াতে ছেলেকে কোনও ভাবে সাহায্য করবেন না। সহজ কথা ছিল উজ্জ্বল সেনগুপ্তর।
যিশুর পেশা নিয়ে খুশি ছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু কোনও দিনই সে কথা সরাসরি ছেলেকে বলেননি তিনি।
যে ‘মহাপ্রভু’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ঘরে ঘরে ছড়ায় যিশুর খ্যাতি, সেটি শেষ হয় ২০০০ সালে। ২০০১ সালে প্রয়াত হন উজ্জ্বল। ধারাবাহিকে ছেলের অভিনয় মন দিয়ে দেখেছিলেন তিনি। যিশুর বন্ধুদের বলেছিলেন, ‘‘যিশু ভাল কাজ করছে। এ বার নিজের একটা ফ্ল্যাট কিনুক। গাড়ি তো কিনেইছে।’’ নীরবে এ ভাবেই ছেলের পাশে ছিলেন বাবা।