মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
হাতে আর মাত্র তিন মাস। টলিপাড়ায় পুজোর ছবি নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই পুজোয় বেশ কিছু ছবি মুক্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তালিকায় রয়েছে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটির ছবি ‘বহুরূপী’। রয়েছে পথিকৃৎ বসু পরিচালিত ‘শাস্ত্রী’। তবে এখনও পর্যন্ত এসভিএফ তাদের পুজোর ছবির ঘোষণা করেনি। তাই পুজোয় তারা কোনও ছবি নিয়ে আসবে কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
চলতি বছর পুজোয় সৃজিত মুখোপাধ্যায় দেব ও রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিয়ে আসছেন ‘টেক্কা’। ফলে তিনি এ বার এসভিএফ-এর সঙ্গে যে পুজোর ছবির জন্য জোট বাঁধবেন না, তা এক প্রকার স্পষ্ট। অন্য দিকে শোনা গিয়েছিল, পুজোয় এসভিএফ ‘একেনবাবু’কে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় শুটিং নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেওয়ায় সেই ছবি নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি খবর ছড়িয়েছিল, এসভিএফ তাদের পুজোর ছবি তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ে এই ছবির জন্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কথা ভাবা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ছবি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই খবর।
এ দিকে প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবি প্রসঙ্গে অন্য একটি খবর টলিপাড়ার অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে। নেপথ্যে রয়েছে সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবি। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নতুন ছবিতে অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সম্প্রতি, এই ছবির একটি গানের দৃশ্যের শুটিং সেরেছেন পরিচালক। শুটিং ফ্লোরের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, মিঠুনের সঙ্গেই সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজ, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কোরিয়োগ্রাফার বাবা যাদব এবং প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে। শোনা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর প্রেক্ষাপটে ওই গানটিকে ভাবা হয়েছে।
হঠাৎ করে রাজের ছবিতে পুজোর আঙ্গিক কেন? টলিপাড়ার এক সূত্রের দাবি, রাহুলের ছবি বাস্তবায়িত না হলে প্রযোজনা সংস্থা রাজের ছবিটিকে তাদের পুজোর ছবি হিসেবে নিয়ে আসতে পারে। পুজোয় মিঠুনকে নিয়ে পরিচালক পথিকৃৎ বসু যে ‘শাস্ত্রী’ ছবিটি নিয়ে আসছেন, শুরুতেই তা জানা গিয়েছিল। এখন প্রশ্ন, তা হলে কি এ বার পুজোয় দর্শক একটির পরিবর্তে দু’টি বাংলা ছবিতে মিঠুনকে পেতে চলেছেন? উত্তর এখনও অজানা।
ইন্ডাস্ট্রির অন্য একটি সূত্রের দাবি, পুজো আসতে এখনও কয়েক মাস দেরি। অর্থাৎ এখনও নানা সমীকরণ তৈরি হতে পারে। গত বছর প্রযোজনা সংস্থার তরফে পুজোয় মুক্তি পেয়েছিল সৃজিতের ‘দশম অবতার’। সেই ছবিরও ঘোষণা এবং শুটিং অনেক পরে শুরু হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত কী হয়, এখনই তা নিশ্চিত ভাবে বলা কঠিন।