সলমন খান, শাহরুখ খান, হৃতিক রোশন। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালিদের মধ্যে ডাকনাম, ভাল নামের চল আজকের নয়। অন্য ভাষার মানুষদের মধ্যেও কখনও কখনও এই বাড়ির নামের রেওয়াজ দেখা যায়। তবে বলিউডের বিষয়টা একটু আলাদা। মায়ানগরীর ঝাঁ- চকচকে বিনোদনের জগতে ডাকনাম নয়, ‘উপাধি’ পান তারকারা। এই যেমন শাহরুখ খান পরিচিত ‘বলিউডের বাদশা’ ও ‘কিং খান’ হিসাবে। অমিতাভ বচ্চনকে সম্বোধন করা হয় ‘বিগ বি’ বা ‘শাহেনশা’ নামে। অভিষেক বচ্চনের সমাজমাধ্যমের পাতায় নামই ‘জুনিয়র বচ্চন’। আবার সলমন খান বলিপাড়ায় পরিচিত ‘ভাইজান’ নামে। সুঠাম চেহারার জন্য হৃতিক রোশনকে অভিহিত করা হয় ‘গ্রিক দেবতা’ নামে। তবে মায়ানগরীর ছবিশিকারিদের কাছে তারকাদের নাম অন্য। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লাল গালিচায় শোনা যায় সেই নামের ডাকও। কেমন সেই ‘ডাকনাম’, জানেন?
সম্প্রতি আনন্দ পণ্ডিতের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির হয়েছিল গোটা বিনোদন জগৎ। সেই পার্টিতে লাল গালিচায় হাজির ছিলেন বলিউডের তারকারা। শাহরুখ, সলমন থেকে শুরু করে অমিতাভ, অভিষেক তো বটেই... ছিলেন জ্যাকি শ্রফ, টাইগার শ্রফ, কার্তিক আরিয়ানের মতো তারকারাও। সলমন লাল গালিচায় আসতেই তাঁকে দেখে ‘টাইগার’ ‘টাইগার’ বলতে শুরু করেন ছবিশিকারিরা। সলমন সাধারণ ভাবে ‘ভাইজান’ বলে পরিচিত হলেও তাঁর শেষ ছবি ও জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির দৌলতে ‘টাইগার’ নামেও তাঁকে ডাকতে শোনা গেল চিত্রগ্রাহীদের। বাবা রাকেশ রোশনের সঙ্গে লাল গালিচায় হাজির হয়েছিলেন হৃতিক। সেখানে তাঁকে দেখেই ‘ফাইটার’ বলে ডাকা শুরু করেন আলোকচিত্রীরা। হৃতিকের আসন্ন ছবি নিয়ে বেশ উৎসাহী তাঁরাও, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অন্য দিকে, টাইগারের সঙ্গে লাল গালিচায় এসেছিলেন কার্তিক। কার্তিককে দেখেই চিত্রগ্রাহকদের চিৎকার ‘চকোলেট বয়’ বলে! এক সময় এই নামে পরিচিত ছিলেন শাহিদ কপূর। তবে নিজের মিষ্টি স্বভাব ও নিজের একাধিক চরিত্রের জন্য শাহিদের পর ওই তকমা অর্জন করেছেন কার্তিক। আলোকচিত্রীরা তাঁকে ওই নামে ডাকা শুরু করলে হাসি থামাতে পারেননি কার্তিক।
আনন্দ পণ্ডিতের জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখও। সদ্য ‘ডাঙ্কি’ মুক্তি পাওয়ার পরেই জনসমক্ষে ধরা দেন তিনি। তাঁকে লাল গালিচায় দেখে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত আলোকচিত্রীরা। বাদশার ছবি পেতে তাঁকে ‘খান সাহেব’ বলেই ডাকতে শুরু করেন তাঁরা। চিত্রগ্রাহীদের নিরাশ করেননি শাহরুখ। তাঁদের আবদার মেটাতে লাল গালিচায় বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন তিনি।