তরুণীর মা-বাবা এবং অন্য পরিজনদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের মাত্র মাস দেড়েকের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক তরুণীর মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সীতা মণ্ডল (১৮)। বুধবার সোনারপুরের কালিকাপুরের মুড়োগাছি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দেহ মেলে। তরুণীর মা-বাবা এবং অন্য পরিজনদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। সোনারপুর থানায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তার ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তরুণীর স্বামী অরূপ নস্করকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা সীতার সঙ্গে গত ১৭ নভেম্বর দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল কালিকাপুর মুড়োগাছির বাসিন্দা অরূপের। অরূপ কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি চামড়ার কারখানায় কাজ করেন। সীতার বাবা দিব্যকুমার মণ্ডল জানান, বুধবার সকালে তাঁদের খবর দেওয়া হয়, মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে এসে পরিজনেরা দেখেন, মৃত্যু হয়েছে সীতার।
তরুণীর বাবার দাবি, তিনি মেয়ের বিয়েতে গয়নাগাঁটি দিয়েছিলেন। কিন্তু খাট-বিছানা দিতে পারেননি। তা নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি হত বলেই দাবি তাঁর। এর জেরেই সীতাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা।
অন্য দিকে, ধৃত অরূপ পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই অন্য কারও সঙ্গে ফোনে ব্যস্ত থাকতেন তাঁর স্ত্রী। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে
অশান্তি হত। বিষয়টি তরুণীর পরিবারের সদস্যদেরও জানানো হয়েছিল। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনায় মিটমাট করার কথাও হয়। এরই মধ্যে বুধবার সকালে নিজের ঘরে সীতার ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। পুলিশ জানিয়েছে, পণের দাবিতে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।