Kolkata Metro

‘বেলাইন’ মেট্রোর সূচি, আচমকা রেক বিকল হয়ে বাড়ল ভোগান্তি

প্রায়ই ব্যস্ত সময়ে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে মেট্রো ছুটছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের বড় অংশের। তার মধ্যে ট্রেন দেরিতে আসায় প্ল্যাটফর্মে ভিড় বাড়ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৯
বৃহস্পতিবার সকালে অফিস টাইমে মেট্রো ট্রেন চলাচল দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ দমদম মেট্রো স্টেশনে।

বৃহস্পতিবার সকালে অফিস টাইমে মেট্রো ট্রেন চলাচল দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ দমদম মেট্রো স্টেশনে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথের সব ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ঘোরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর থেকেই মেট্রোর সময়সূচি ঠিক রাখা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রায়ই ব্যস্ত সময়ে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে মেট্রো ছুটছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের বড় অংশের। তার মধ্যে ট্রেন দেরিতে আসায় প্ল্যাটফর্মে ভিড় বাড়ছে।

Advertisement

মেট্রোর চলতি এই সমস্যার মধ্যেই বৃহস্পতিবার অফিসের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়াল বেলগাছিয়া স্টেশনে একটি বাতানুকূল রেকের বিভ্রাট। ওই ঘটনার জেরে বেলগাছিয়া স্টেশনে কবি সুভাষমুখী মেট্রোর ডাউন লাইনে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অফিসের ব্যস্ত সময়ের বিপত্তি সার্বিক মেট্রো পরিষেবাকে কার্যত এলোমেলো করে দেয়।

এ দিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ অভিমুখে যাওয়ার সময়ে
কলকাতা মেট্রোর নতুন একটি ডালিয়ান রেক বেলগাছিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে আচমকা বিকল হয়ে যায়। ওই ট্রেনের তিনটি কামরা ডাউন লাইনে স্টেশনের বাইরে থেকে যায় বলে খবর। কিছু ক্ষণ চেষ্টা চালিয়েও রেক সচল করতে না পেরে কন্ট্রোল রুম থেকে যাত্রী নামিয়ে ওই ট্রেনটি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ট্রেন বিকল হয়ে যাওয়ায় প্ল্যাটফর্মে থাকা কামরার দরজা স্বয়ংক্রিয় উপায়ে খোলা যায়নি। ফলে, চালকের কেবিন লাগোয়া সামনের দিকের দরজা খুলে যাত্রীদের একে একে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়।

সব যাত্রীকে নামিয়ে সকাল ৯টা ১৭ মিনিট নাগাদ ফাঁকা ট্রেনটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কবি সুভাষ স্টেশনের ইয়ার্ডে। সকালের এই বিভ্রাটের কারণে অফিসগামী যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। ওই সময়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ গিরিশ পার্ক থেকে কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে ট্রেন চালানোর চেষ্টা করেন। পরের দিকে অবশ্য পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

মেট্রোয় ভোগান্তির কারণে যাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই বিপত্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্য দিকে, বুধবার বড়দিনের সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে যাত্রীদের ঢল নামলেও মেট্রো কর্তৃপক্ষের ঝুলি খুব একটা ভরেনি। বড়দিনে মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৬৮ হাজারের মতো। এর মধ্যে উত্তর-দক্ষিণ শাখায় মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার। ইস্ট-ওয়েস্ট, নিউ গড়িয়া-রুবি এবং জোকা-মাঝেরহাট মিলিয়ে মেট্রোয় সফর করেছেন ৭০ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী।

Advertisement
আরও পড়ুন