(বাঁ দিকে) রশ্মিকা মন্দনা। সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বক্স অফিসে দুরন্ত ব্যবসা করছে রণবীর কপূর অভিনীত ওই ছবি। তবে বাণিজ্যিক সাফল্যের দোসর হয়েছে বিতর্ক। ছবিতে নাকি উগ্র পৌরুষ, নারীবিদ্বেষকে রীতিমতো উদ্যাপন করেছেন বঙ্গা, দাবি সমালোচকদের একটা বড় অংশের। ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে ক্ষুব্ধ মহিলা দর্শকের অনেকেও। তাঁদের অভিযোগ, ছবিতে নায়কের চেয়ে নায়িকাকে অনেক ছোট করে দেখানো হয়েছে। তবে তাঁদের সেই অভিযোগ মানতে নারাজ পরিচালক নিজে। বরং, তাঁদের ‘ভুয়ো নারীবাদী’ বলে একহাত নিলেন বঙ্গা।
‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে একটি দৃশ্যে রণবীর রশ্মিকাকে বলেন যে তাঁর কিছু হয়ে গেলেও রশ্মিকা যেন দ্বিতীয় বার বিয়ে না করেন। ছবির ওই দৃশ্য ঘিরে ক্ষুব্ধ বহু দর্শক। তাঁদের প্রশ্ন, রণবীর বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে পারেন, অথচ রণবীরের পরে কেন অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সংসার করতে পারবেন না রশ্মিকা? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গা জানান, স্রেফ ভুয়ো নারীবাদীরাই এমন ভাবে ভাবতে পারেন! বঙ্গার কথায়, ‘‘যে কোনও সম্পর্কে কেউ বহুগামী হতেই পারেন। কারও একাধিক সঙ্গী থাকতেই পারে। সেটা অভ্যাসের বিষয়। তবে এক একটা সম্পর্ক এমন হয়, যেখানে একজনকে ভালবাসার পর অন্য কাউকে আপনি নিজের মনে জায়গা দিতে পারেন না। রণবিজয় (রণবীর) ও গীতাঞ্জলির (রশ্মিকা) সম্পর্কের আঙ্গিকটা হয়তো সে রকমই। রণবিজয় হয়তো মনে করেছিল, তাদের সম্পর্কের পর গীতাঞ্জলি আর অন্য কারও সঙ্গে সংসার করতে পারবে না। সেই জন্যই ওই সংলাপ। তা ছাড়াও, রণবিজয় চায়নি ওদের ছেলেমেয়ে তাদের মাকে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে দেখুক। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত একটা ভাবনা থেকে আসা সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে ভুয়ো নারীবাদীরা বেকারই কাটাছেঁড়া করছেন!’’
এর আগেও নিজের ছবির সমালোচনা নিয়ে সমালোচকদের প্রতি তিক্ততা প্রদর্শন করতে পিছপা হননি বঙ্গা। তিনি এমনও দাবি করেন, এ দেশের সিনেমা-সমালোচকেরা নাকি একেবারেই অশিক্ষিত। কী ভাবে একটা ছবির সমালোচনা করতে হয়, তাঁরা নাকি তা জানেনই না। কয়েক সপ্তাহ আগে বঙ্গা এও জানান, ভারতের চেয়ে আমেরিকার দর্শককে বেশি পছন্দ করেন তিনি। কারণ, তাঁরা নাকি তাঁর ছবি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না।