বাবার আচরণে ভয়ে থাকতেন ফরদিন। ছবি: সংগৃহীত।
বাবার হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। হলে কী হবে! বাবার মেজাজ যখন-তখন সপ্তমে চড়ে, মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই কখন কী ভাবছেন। ফলে রীতিমতো ভয়ে ভয়ে থাকতেন ফরদিন খান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, বাবা ফিরোজ় খান অধিকাংশ সময় নিজের মধ্যেই থাকতেন।
১৯৯৮ সালে ‘প্রেম অগন’ ছবিটি পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন ফিরোজ়। চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের সময় নিতান্তই কাঁচা অভিনেতা ছিলেন ফরদিন। অভিনয়ের জন্য তৈরি ছিলেন না তিনি, মত ফরদিনের। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “বাবার বিশাল ব্যক্তিত্ব, আমি ভীষণ ভয় পেতাম। তাঁর সঙ্গে কাজ করা…তিনি উদারপন্থী হলেও ‘এফকে’-র (ফিরোজ় খান) সঙ্গে কে ঝামেলা করতে চায়!” বক্স অফিসেও ভরাডুবি হয়েছিল ‘প্রেম অগন’-এর।
ফরদিন আরও জানালেন, তাঁর বন্ধুরা তাঁকে অনেক সময় ‘এফকে’ বলে ঠাট্টা করতেন। কিন্তু অভিনেতার বাবা আশপাশে থাকলে বলতেন, “এফকে একজনই।” অভিনেতা জানালেন, উদারমনস্ক হলেও তাঁর মেজাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন সকলে। বাকি সকলের কাছে যদিও বা বলতেন ছেলেকে ভালবাসেন, ছেলের সামনে তা কখনও প্রকাশ করতেন না রাশভারী ফিরোজ়। যদিও শেষ কয়েক বছরে অভিনেতার প্রতি বাবার ব্যবহার খানিক নরম হয়েছিল। ২০০৯ সালে ৬৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ফিরোজ়ের। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলের অন্তরে আঘাত হানে বাবার মৃত্যু।
তবে মায়ের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সুমধুর সম্পর্ক ফরদিনের। কিন্তু বর্তমানে অভিনেতার মা খুব একটা খুশি নন তাঁকে নিয়ে। এই প্রসঙ্গে ফরদিনের বক্তব্য, “আমি এই মুহূর্তে একটু বোকা হয়ে গিয়েছি। সে জন্য আমাকে নিয়ে খুশি নন মা।” তবে অভিনেতা বাবার থেকে যে আচরণ পেয়েছেন নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রে সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেন না অভিনেতা। অভিনেতা জানালেন, সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তাঁর। যার ভিত্তিতে মনের কথা খোলাখুলি ভাবে বলতে পারে দুই পক্ষ।