মন্দার বাজারে বক্স অফিস সংগ্রহের নজির তুলে বলিউডে লক্ষ্মী আনল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।
বয়কটের মিছিল, নিন্দার ঝড় সামলে সত্যিই উড়ান নিল রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ছবি। মন্দার বাজারে চমৎকার বক্স অফিস সংগ্রহের নজির তুলে বলিউডে লক্ষ্মী আনল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ক্রমাগত অপমান আর ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাল হিন্দি ছবির দুনিয়াকে, এমনটাই মনে করছেন একদল সমালোচক।
৪০০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি যে উদ্বোধনীতেই মাত করবে, এমনটা আশা করেননি অনেকেই। তবে তরণ আদর্শের মতো চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকরা অবশ্য দু’সপ্তাহ আগেই এমন একটা ফলের কথা বলে রেখেছিলেন। হুড়হুড় করে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছিল ছবির।
প্রযোজক কর্ণও অয়নকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, “ছবি ব্যবসা করতে পারুক বা না করুক, আগেই আমরা জিতে গিয়েছি।” আসলে নির্মাতাদের জোরটা ছিল সাধনায়, শ্রমে। গত পাঁচ বছর ধরে নিরন্তর সাধনার ফল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। পুরাণ-ফ্যান্টাসির মিশেলে এ ছবিকে মনের মতো করে সাজিয়েছেন অয়ন। হিন্দি ছবিতে এত উন্নত মানের ভিএফএক্সের ব্যবহার এই প্রথম। যার নেপথ্যে রয়েছেন ‘ভিএফএক্স জিনিয়াস’ নমিত মলহোত্র। হলিউডে ‘ইনসেপশন’, ‘ইন্টারস্টেলার’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশনের কারিগরি করেছে তাঁর সংস্থা। তাই অনেকে আবার মনে করছেন, চিত্রনাট্যে ফাঁক ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ভিএফএক্স-এর কেরামতিতেই।
যদিও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখে নির্মাতাদের তুলোধনা করেছেন কঙ্গনা রানাউত। প্রযোজক কর্ণ জোহর এবং পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়ের তীব্র নিন্দা করে কঙ্গনা বলেছেন, ৬০০ কোটি টাকাই জলে দিয়েছেন অয়ন। আর কর্ণ? তাঁর নাকি চিত্রনাট্যে মনই নেই। অন্যের যৌনজীবন নিয়েই বেশি আগ্রহ। সব মিলিয়ে এ ছবি এক বড়সড় ‘বিপর্যয়’ বলে মনে করছেন কঙ্গনা।
তবে, নেতিবাচক পরিবেশেও তরতরিয়ে চড়ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র গ্রাফ। দ্বিতীয় দিনেও বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহ হাউজফুল। শনিবার নেটমাধ্যমে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে সুখবর ভাগ করে নিলেন কর্ণ।