Pune Murder Case

পুণে হত্যাকাণ্ড, প্রশ্নের মুখে প্রত্যক্ষদর্শীদের নীরবতা, পুলিশকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

অফিস চত্বরেই মহিলা সহকর্মীকে কাটারি দিয়ে কোপাচ্ছেন যুবক। ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখার পরেও নীরব প্রত্যক্ষদর্শীরা। মহারাষ্ট্র পুলিশকে চিঠি দিল ‘উদ্বিগ্ন’ জাতীয় মহিলা কমিশন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩২
অফিস চত্বরেই মহিলা সহকর্মীকে কাটারি দিয়ে কোপালেন যুবক।

অফিস চত্বরেই মহিলা সহকর্মীকে কাটারি দিয়ে কোপালেন যুবক। ছবি: সংগৃহীত।

অফিস চত্বরেই মহিলা সহকর্মীকে কাটারি দিয়ে কোপাচ্ছেন যুবক। ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখার পরেও নীরব রইলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুণের এই ঘটনায় নৃশংস খুনের চেয়েও সাধারণের চর্চায় প্রত্যক্ষদর্শীদের এই নীরবতা। সমাজমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকদের প্রশ্ন, ঘাতককে আগেভাগেই আটকে দিলে কি মেয়েটাকে প্রাণে বাঁচানো যেত না? অন্য দিকে, এই ঘটনায় কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।

Advertisement

খুনের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। পুণের একটি সংস্থায় কাজ করতেন অভিযুক্ত যুবক এবং ওই যুবতী। হঠাৎই ভরা অফিস চত্বরে কাটারি বার করে যুবতীকে কোপাতে থাকেন অভিযুক্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন যুবতী। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, খুনের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন অন্তত ২০ জন। কিন্তু তাঁদের কাউকেই যুবককে আটকানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়নি। কয়েক বার কুপিয়ে কাটারি ফেলার পর কেউ কেউ যুবককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। (যদিও এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে হত যুবতীর নাম সুভদা কোদারে। আর খুনে অভিযুক্ত যুবকের নাম কৃষ্ণ সত্যনারায়ণ কানোজিয়া। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে কৃষ্ণ কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন সুভদাকে। সেই টাকা শোধ করা নিয়েই দু’জনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সুভদাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিনই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে।

Advertisement
আরও পড়ুন