দুই ছেলে অরিন এবং রিয়ানকে মানুষ করার অভিনয় জীবনে বিরতি নিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর ছবি দেখার জন্য এক সময় ভিড় জমত প্রেক্ষাগৃহের বাইরে। নতুন হোক বা পুরনো, তাঁর অভিনয় এখনও মুগ্ধ করে দর্শককে, ভ্রু-র বিভঙ্গে এখনও ঘায়েল তামাম ভারতবাসী। হৃদয় এখনও ধকধক করে তাঁর নাচের ছন্দে। কিন্তু নিজের ছেলেরাই নাকি তাঁর ছবি দেখে না!
মাধুরী দীক্ষিত, বলিউডে সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবে যাঁর নাম। প্রায় ২৫ বছর আগে, অভিনয় জীবনে তাঁর সাফল্য যখন মধ্যগগনে, তখনই বিয়ে করে বিদেশে চলে যান অভিনেত্রী। কার্ডিওভাসক্যুলার সার্জেন শ্রীরাম মাধব নেনের সঙ্গে পাতেন সংসার। দীর্ঘ দিন মাধুরী কাটিয়েছেন দেশের বাইরে। কোলোরাডোর ডেনভারে থাকার সময়েও একাধিক ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন নায়িকা। এমনকি প্রস্তাব এসেছিল হলিউড থেকেও। মাধুরীর দাবি, তিনি ছেলেদের মানুষ করার জন্যই রুপোলি পর্দা থেকে দূরে থেকেছেন একটা সময়। তবে এখন মাধুরী-শ্রীরাম ফিরে এসেছেন ভারতে। বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সমাজমাধ্যমেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। ২০১৯ সালে পরিচালক ইন্দ্র কুমারের ছবি ‘টোটাল ধামাল’-এর পর মাধুরী স্বমহিমায় ফিরেছেন ২০২৪ সালে আনিস বাজ়মির ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিতে।
মাধুরী এবং তাঁর স্বামী ভারতে ফিরে এলেও দুই ছেলে অরিন এবং রিয়ান এখনও আমেরিকায় থাকেন। সেখানেই তাঁদের পড়াশোনা চলছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেরা মায়ের ছবি দেখে না। কিন্তু এই বছর একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে গিয়েছে। মাধুরী বলেন, “ওরা আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহেই নিজেদের বন্ধুদের নিয়ে গিয়েছিল ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ দেখতে। ওদের মনে হয়েছে ছবিটা খুবই মজার। ভাল লেগেছে ওদের। মাকে ভূত হিসাবে দেখে আনন্দও পেয়েছে। ফলে বলাই যায়, এই প্রথম ওদের স্বীকৃতি পেলাম আমি।”
কিন্তু কেন ছেলেদের নিজের ছবি দেখতে বলেন না মাধুরী? অরিন, রিয়ান কি জানেই না মায়ের কত ভক্ত এ দেশে? মাধুরী বলেন, “ওরা খুব অবাক হয়ে যায়। কখনও কোনও দৃশ্য দেখতে পেলে আমাকে জিজ্ঞেস করে ‘কবে করলে এই ছবিটা তুমি?’ এই তো সে দিন ‘পুকার’-এর ‘কে জ়ারা জ়ারা’ গানের ভিডিয়ো দেখে ওরা আমাকে বলছিল, আমি নাকি ‘কুল’। এ ভাবেই দেখে ওরা আমার ভিডিয়ো।” ‘ধকধক গার্ল’ নিজের ছবি দেখার কথা ছেলেদের বলতে পারেন না। তাঁর নাকি অস্বস্তি হয়। তিনি বলেন, “আমি চাই ওরা বন্ধুদের নিয়ে গিয়ে আমাকে নতুন করে আবিষ্কার করুক।”