(বাঁ দিকে) সইফ আলি খাল। শ্রীলেখা মিত্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বলিউড তথা সারা দেশে চর্চার কেন্দ্রে অভিনেতা সইফ আলি খান। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমাজের বিশিষ্টজনেদের মধ্যে অনেকেই সমাজমাধ্যমে অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম টলিপাড়ার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
তবে সইফের আরোগ্য কামনায় শ্রীলেখা অভিনেতার সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। ২০০৭ সালে প্রদীপ সরকার পরিচালিত একটি চিপসের বিজ্ঞাপনী ছবিতে সইফের সঙ্গে কাজ করেন শ্রীলেখা। শুটিং হয়েছিল তাইল্যান্ডে। শুটিংয়ের কিছু মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন শ্রীলেখা। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘সকালে ফেসবুকে মুম্বইয়ের এক প্রযোজকের পোস্ট দেখে খবরটা জানতে পেরেই মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সইফের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাগুলো মনে পড়ছিল।’’
শ্রীলেখার মতে, কারও জন্মদিন বা মৃত্যুদিনে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তোলা কোনও ছবিই মানুষ সাধারণত সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। কিন্তু এই ‘স্মৃতিচারণ’ অভিনেত্রীর পছন্দ নয়। তার উপর, এই সময়ে সইফ এবং সইফের পরিবার কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। শ্রীলেখার কথায়, ‘‘আমি ছবিগুলো পুরনো অ্যালবাম থেকে খুঁজে পেলাম। দাদাও (প্রদীপ সরকার) এখন আর আমাদের মধ্যে নেই। খারাপ লাগছিল।’’
কী ভাবে এই বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু হয়? শ্রীলেখা জানালেন, সেই সময় রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘হম তুম’ ছবির শুটিংয়ের জন্য ব্যাঙ্ককে ছিলেন সইফ। সেই ভাবেই পরিকল্পনা করেছিলেন প্রদীপ সরকার। সইফের সঙ্গে কাটানো শুটিংয়ের মুহূর্তগুলো আজও শ্রীলেখার মনে টাটকা। বললেন, ‘‘আমি বাঙালি জেনে খুব খুশি হয়েছিল। বলেছিল, ‘বাঙালিরা খুব বুদ্ধিমান হয়। বিশেষ করে বাঙালি মহিলাদের চুল এবং চোখ খুব সুন্দর’। আসলে শর্মিলা ঠাকুরের ছেলে বলেই হয়তো বাঙালিদের প্রতি আলাদা আকর্ষণ রয়েছে সইফের।’’
সইফ আলি খানের বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি প্রবেশ করেছে দেখে, তারকাদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত শ্রীলেখা। অভিনেত্রীর মতে, ধীরে ধীরে সত্য প্রকাশ্যে আসবে। অভিনেত্রীর আশা, সইফ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। ফোন করার সুযোগ পেলে এখন সইফকে কী বলতেন শ্রীলেখা? অভিনেত্রী হেসে বললেন, ‘‘ফোন নম্বরটা তখন আর নেওয়া হয়নি। কী আর করা যাবে! ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, এটাই চাই।’’