সইফ আলি খানের ঘটনায় ময়দানে ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ দয়া নায়েক। ছবি: সংগৃহীত।
পার্টি করে মধ্যরাতে বাড়ি ফিরলেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। অন্দরে হঠাৎ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে দেখে চিৎকার করে উঠলেন করিনা কপূর খান। তাঁর চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন এক পরিচারিকা। হামলাকারীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। হলঘরের কাছেই তাঁর ঘর। সেই সময়ে পুত্র তৈমুরকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত ভিতরের ঘরে চলে যান করিনা।
হলঘর থেকে স্ত্রীর চিৎকার শুনে তত ক্ষণে বেরিয়ে এসেছেন সইফ নিজে। পরিচারিকার সঙ্গে অচেনা ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হচ্ছে দেখে তিনি বাধা দিতে যান। সেই সময়ে ধারালো ছুরি বার করে এলোপাথাড়ি কোপ মারে অভিযুক্ত। সইফ রক্তাক্ত হন। তার পরেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারী।
পর পর ঘটনার ঘনঘটা। যবনিকা পতনে ময়দানে দয়া নায়েক। মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখার অন্যতম আধিকারিক তিনি। খার-বান্দ্রা অঞ্চলে অপরাধদমন শাখা ৯-তে কর্মরত তিনি। ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ নামে পরিচিত তিনি। চাকরিজীবনে প্রথম এনকাউন্টারের পরেই তাঁকে স্পেশ্যাল স্কোয়াডে মোতায়েন করা হয়। মূলত গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধেই তাঁর কাজ। শহরের সবচেয়ে বিপজ্জনক অপরাধীদের বিভিন্ন শাখা ধ্বংস করেছেন দয়া।
২০০ কুখ্যাত অপরাধীদের গ্রেফতারির নেপথ্য নায়ক তিনি। বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ও অন্ধকার জগতের অপরাধীদের সমস্ত তথ্য হাতের মুঠোয় পাওয়ার মতো উপযুক্ত শাখা বিছিয়ে দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে ৮৩ জন অপরাধীর এনকাউন্টার করেছেন দয়া। সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলিবর্ষণে অভিযুক্ত ভিকি গুপ্ত, সাগর পালকে পাকড়াও করেছিল তাঁর দল। শুধু পুলিশ মহলেই নয়, বিনোদন দুনিয়াতেও তিনি অনুপ্রেরণা। বলিউড ও দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের প্রায় ২০টি ছবির অনুপ্রেরণা দয়া।
উল্লেখ্য, সইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। কিন্তু এখনও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। খোঁজ চলছে। সেই সঙ্গে পুলিশ পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মূল ঘটনার দু’ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকেই ওই বাড়িতে ঢুকে বসেছিল অভিযুক্ত। কেউ কেউ বলছেন, দুষ্কৃতী সইফ-করিনার কনিষ্ঠ পুত্রের ঘরে লুকিয়ে ছিল। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সেই দুষ্কৃতীকে বাড়িতে প্রবেশ করার নেপথ্যে বাড়ির কোনও পরিচারিকা থাকতে পারেন।