জ্যোতিষীর পোশাক নিয়ে সমালোচনায় তৈরি হয়েছে ব্যঙ্গচিত্রও। ছবি : টুইটার থেকে।
রাজপথে ‘উলঙ্গ রাজা’র ‘ভুল’ ধরিয়ে দিয়েছিল এক কিশোর। টুইটার অবশ্য শুধু ভুল ধরালো না, চাঁদা তুলে টাকাও দিল এক মহিলা জ্যোতিষীকে। যাতে তিনি একটি ব্লাউজ কিনে পরতে পারেন!
ওই জ্যোতিষীর একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তাতে তিনি শনিগ্রহের ফের কাটাতে কী করা উচিত, তার উপায় বাতলেছেন। তবে বিতর্কের কারণ জ্যোতিষী সেই বক্তব্য নয়। টুইটার ব্যবহারকারীরা আঁতকে উঠেছেন জ্যোতিষীর পোশাকআশাক দেখে। খোলা চুলে নীল রঙের একটি শাড়ি পরেছেন তিনি। তবে শাড়ির পাশে জ্যোতিষীর ব্লাউজটি ‘অদৃশ্য’। বদলে দৃশ্যমান তাঁর অনাবৃত কাঁধ, হাত, গলার নীচের বেশ কিছুটা অংশ। দেখে জ্যোতিষীকে অনেকের প্রশ্ন— ‘‘আরে, আপনার ব্লাউজ কোথায়!’’
জ্যোতিষীর নাম নিধি চৌধুরি। তিনি নেটমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়ও। নিজেকে জ্যোতিষী ছাড়াও যাপন বিশেষজ্ঞ, ফ্যাশন সচেতক বলে পরিচয় দেন নিধি। তবে তাঁর নিজের ফ্যাশন এ ভাবে টুইটারে মানুষজনকে সচেতন করে তুলবে, এমনকি তাঁকে ব্লাউজ কিনে দেওয়ার জন্য টুইটারে চাঁদা তোলা শুরু হবে, তা তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি।
One of the best remedy for Saturn/ Shani is to never exploit your helpers & help the underprivileged people. 💙#astrology pic.twitter.com/P8XfGKBDIQ
— Nidhi Chaudhary (@thenidhii) September 10, 2022
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে শনির ফের কাটাতে দুঃস্থদের সাহায্য করার পরামর্শ দিয়েছিলেন নিধি। এক টুইটার ব্যবহারকারী তাঁকে লেখেন, ‘আমার তো আপনাকে দেখেই সবচেয়ে দুঃস্থ বলে মনে হচ্ছে। আপনি বরং আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরটি দিন, আমি আপনাকেই কিছু সাহায্য করি।’ জবাবে নিধিও ওই মন্তব্যকারীকে অনলাইন লেনদেনের আইডি পাঠান। তাতে টাকা পাঠিয়ে ওই মন্তব্যকারী একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করতেই জ্যোতিষীর জন্য ব্লাউজের টাকা পাঠানোর ধুম পড়ে। জ্যোতিষীকে ব্লাউজের টাকা পাঠানো নিয়ে একের পর এক ব্যঙ্গচিত্রও ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে।
পরে নিধি অন্য একটি ভিডিয়ো করে তাঁকে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। নিধি তাতে বলেছেন, ‘‘আপনাদের মিম দেখে আমি খুব হেসেছি। তবে অবাক হয়েছি এটা দেখে যে, নিজেদের জীবনের সমস্ত সমস্যা সামলে আপনাদের আমার ব্লাউজ নিয়ে ভাবারও সময় আছে! আপনাদের ভুল ভাঙিয়ে জানাই আমি ব্লাউজ পরেছিলাম। তবে ওই ব্লাউজটি ছিল ওয়ান শোল্ডার। অর্থাৎ এক কাঁধ খোলা।’’ তাঁর ব্লাউজের জন্য কত টাকা পেয়েছেন, তা-ও জানিয়ে নিধি বলেন, ‘‘অনেকেই টাকা পাঠিয়েছেন। তবে বেশির ভাগই আটানা-চারানা গোছের। তবে সে সব মিলিয়ে ১৩০০-১৪০০ টাকা মতো হাতে পেয়েছি আমি।’’