অতিথি হিসেবে প্রমোদতরীতে গিয়েছিলেন আরিয়ান-আরবাজ।
আরিয়ান খানের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। গোয়াগামী প্রমোদতরীর পার্টিতে যাওয়ার আগে ঠিক কী কী করেছিলেন তাঁরা? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাত্কারে জানালেন আরবাজের বাবা, আইনজীবী আসলাম মার্চান্ট। আসলামের দাবি, আরিয়ান বা আরবাজ প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। শেষ মুহূর্তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে আমার সঙ্গে প্রাতরাশ সেরেছে। এমনকী রাতে ফিরে আমার সঙ্গেই খাওয়াদাওয়া করবে বলে জানিয়েছিল আরবাজ। নিছক অতিথি হিসেবেই প্রমোদতরীতে উপস্থিত ছিল ওরা।’’
শাহরুখ-পুত্র এবং তাঁর ছেলে, দু’জনকেই নির্দোষ বলে চিহ্নিত করেছেন আসলাম। তাঁর দাবি, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ দায়ের করা হয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে। উদ্ধার হওয়া মাদক সবই প্রমোদতরীর ভিতরে ছিল। জাহাজের বাইরে কোনও মাদক মেলেনি। আরবাজের বাবা বলেন, ‘‘এক জন আইনজীবী হিসেবে বলছি, বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা রয়েছে আমার। বিশ্বাস করি, দু’জনেই খুব তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে যাবে। ওদের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অভিযোগগুলিও নস্যাৎ হয়ে যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলার সময় আসেনি।’’ তবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিকরা আরিয়ান এবং আরবাজের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন আসলাম।
এনসিবি সূত্রের খবর, গ্রেফতারি পরোয়ানাতেও নিজের হাতে তারকা-সন্তান কথাটি লিখেছিলেন আরিয়ান। তাঁর এবং আরবাজের মোবাইলে কথোপকথন ঘেঁটে নামে শ্রেয়স নায়ার নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এনসিবি আধিকারিকদের সন্দেহ, দু’জনেই মাদক সংগ্রহ করতেন সেই ব্যক্তির কাছ থেকেই। সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন আরবাজের বাবা। তাঁর দাবি, ছেলের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মাদক সংক্রান্ত কোনও আলোচনাই ছিল না।