Chinsurah

নর্দমায় আবর্জনা নয়, জরিমানার ফ্লেক্সে বিতর্ক

স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, জিটি রোড থেকে নলডাঙা ঢোকার ওই রাস্তা বর্ষায় জলমগ্ন হয়। ফলে, রাস্তা দ্রুত খারাপ হয়। সম্প্রতি, একাংশ ঢালাই করা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৮
জারি হওয়া নোটিস। কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত এলাকায়।

জারি হওয়া নোটিস। কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

নর্দমায় আবর্জনা ফেললে ৫০০ টাকা জরিমানা!

Advertisement

চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের কোদালিয়া ২ পঞ্চায়েতের ১১৭ এবং ১১৯ নম্বর বুথের নলডাঙায় ওই সাবধান-বাণী সংবলিত ফ্লেক্সকে ঘিরে সোমবার শোরগোল পড়ল। ফ্লেক্সে বলা হয়েছে, ওই জরিমানা ধার্ষ করবে পঞ্চায়েত। ফ্লেক্সের নীচে লেখা সংশ্লিষ্ট দুই বুথের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নাম। অথচ, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা বিষয়টি জানেনই না। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, পঞ্চায়েত না জানলে এমন ফ্লেক্স টাঙানোর এক্তিয়ার নিয়ে।

১১৭ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য শিখা দাস বলেন, ‘‘নালায় আবর্জনা ফেললে বর্ষায় রাস্তায় জল জমে যায়। তাই মানুষ যাতে নোংরা ফেলতে ভয় পান, ওই ফ্লেক্স টাঙিয়েছি। প্রধানকে বলেছিলাম। দিদি (প্রধান) সম্মতি জানিয়েছেন।’’ প্রধান বেলা মাজি অবশ্য শিখার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বোর্ড মিটিংয়ে ওই রকম কিছুই ঠিক হয়নি। নতুন কোনও নিয়ম হলে আমি জানবই। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে, কেন হল, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, জিটি রোড থেকে নলডাঙা ঢোকার ওই রাস্তা বর্ষায় জলমগ্ন হয়। ফলে, রাস্তা দ্রুত খারাপ হয়। সম্প্রতি, একাংশ ঢালাই করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এরপরেই পঞ্চায়েতের ওই দুই তৃণমূল সদস্য রাস্তার এক দিকে থাকা বড় নর্দমার পাশে একাধিক ফ্লেক্স টাঙিয়ে দেন।

প্রশাসন সূত্রে খবর, গ্রাম কিংবা শহর পরিষ্কার রাখতে পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা যে কেউ দিতেই পারেন। কিন্তু মানুষ ভুল করলে ব্যক্তিগত ভাবে জরিমানা করার এক্তিয়ার কারও নেই। বোর্ড মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক না হলে পঞ্চায়েতও এমন নির্দেশিকা দিতে পারে না।

শিখা বলেন, ‘‘নালায় আবর্জনা ফেলা রোখাই আমাদের উদ্দেশ্য। টাকা তোলা নয়। এখনও কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হয়, তবে তা নালা পরিষ্কারের জন্যই ব্যবহার করব।’’

নলডাঙার বাসিন্দা তথা বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের কটাক্ষ, "মাটি, পুকুর, গাছ সব চুরি করা হয়েছে। এখন যে কোনও প্রকারে মানুষের পকেট থেকে টাকা লুটের ফন্দি এঁটেছে তৃণমূল। নলডাঙার ঘটনা তারই প্রমাণ।’’ এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার সুরেশের দাবি উড়িয়ে বলেন, "বিষয়টি জানি না। অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

Advertisement
আরও পড়ুন