অর্জুন তাঁর বাবা এবং শ্রীদেবীর প্রেম নিয়ে মুখ খোলেন
বনি কপূর এবং মোনার যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, ছেলে অর্জুন কপূর তখন স্কুলে পড়েন। তার পরেই শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বলি প্রযোজক বনি। সেই সময়ে অর্জুনের স্কুলের বন্ধুরা তাঁকে তাঁর ‘নতুন মা’-এর সম্পর্কে প্রশ্ন করত। উত্তর দিতে পারতেন না ছোট্ট অর্জুন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, যে সময়ে বাবার দ্বিতীয় বিয়ে দেখতে হয়েছে তাঁকে, তখন তাঁর বাবা এক জন বিখ্যাত মানুষ। সমাজে তাঁর নাম ডাক রয়েছে। আর শ্রীদেবী তখনকার দিনে অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে এক জন ছিলেন। তাই তাঁদের বিয়ে নিয়ে চার দিকে কথা হত। ফলে, অর্জুনের ছোটবেলায় এই ঘটনার গভীর ছাপ পড়েছিল। মাকে ছেড়ে তাঁর বাবা অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন, এই ঘটনাটি ছোটবেলা থেকেই মেনে নিতে পারেননি অর্জুন। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি বড় হয়েছেন। নিজেও প্রেমে পড়েছেন। আরবাজ খানের প্রাক্তন স্ত্রী মালাইকা অরোরার সঙ্গে প্রেম করেন বলে বিভিন্ন কথা শুনতে হয় তাঁকে। এখন বাবার মন বুঝতে পারেন অর্জুন। নিজেই গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে সে কথা জানান ‘ইশাকজাদে’-র নায়ক।
অর্জুন এখন বোঝেন, কোনও এক জন মানুষের প্রতি সারা জীবন প্রেম থাকবে, তার মানে নেই। প্রেম কমে যেতে পারে। আবার অন্য কারও প্রতি ভাললাগা তৈরি হতে পারে। সারা জীবন এক জনের প্রতি নিষ্ঠাবান, এই ধারণাকে অর্জুন ‘বলিউডি ধ্যানধারণা’ আখ্যা দেন। এও জানান, এটি বাস্তবে সব সময়ে সম্ভব নয়।
তাঁর কথায়, ‘‘আমি এ কথা বলব না যে আমার বাবা আমার মা-কে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়েছেন বলে আমার অসুবিধা হয়নি। অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু বড় হওয়ার পরে অন্য ভাবে দেখা শুরু করেছি আমি। নিজের প্রেমের সম্পর্কে ওঠাপড়া হওয়ার পরে বুঝতে শিখেছি।’’
অর্জুন জানান, তাঁর মা মোনা জীবিত থাকলে, তিনিও অর্জুনকে তাঁর বাবার পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিতেন। মায়ের লালন পালনের কথা মাথায় রেখে তিনি বনি এবং সৎ বোন জাহ্নবী কপূর এবং খুশি কপূরের সঙ্গে পরিবারের মতো করেই মেলামেশা করেন এখন।
তিনি জানান, বনির দ্বিতীয় প্রেমে পড়াকে তিনি সম্মান করেন। ‘‘প্রেম তো আসলে জটিল। ২০২১ সালে বসেও যদি আমরা বলি, এক বারই প্রেমে পড়া যায়, তা হলে সেটা নির্বুদ্ধিতা,’’ বলেন অর্জুন।