খুশি, অংশুলা, অর্জুন এবং জাহ্নবী
জাহ্নবী ও খুশি কপূরের সঙ্গে আজও সুসম্পর্ক তৈরি হয়নি অর্জুন ও অংশুলা কপূরের। তাঁরা আজও এক পরিবার হয়ে উঠতে পারেননি। নিজের সৎ বোনেদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।
বর্ষীয়ান অভিনেতা বনি কপূর ও তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মোনা কপূরের দুই সন্তান অর্জুন কপূর এবং অংশুলা। কিন্তু বনি-মোনার সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। তার পরে ১৯৯৬ সালে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি। অভিনেতা অর্জুন এর আগেও জানিয়েছিলেন, মাকে ছেড়ে তাঁর বাবা অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন, এই ঘটনাটি ছোটবেলা থেকেই মেনে নিতে পারেননি অর্জুন। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, স্কুলের বন্ধুরা তাঁকে তাঁর ‘নতুন মা’-এর সম্পর্কে প্রশ্ন করত। উত্তর দিতে পারতেন না ছোট্ট অর্জুন। অভিনেতা জানালেন, যে সময়ে বাবার দ্বিতীয় বিয়ে দেখতে হয়েছে তাঁকে, তখন তাঁর বাবা এক জন বিখ্যাত মানুষ। সমাজে তাঁর নাম ডাক রয়েছে। আর শ্রীদেবী তখনকার দিনে অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে এক জন ছিলেন। তাই তাঁদের বিয়ে নিয়ে চার দিকে কথা হত। ফলে, অর্জুনের ছোটবেলায় এই ঘটনার গভীর ছাপ পড়েছিল।
১৯৯৭ সালে শ্রীদেবী ও বনির প্রথম কন্যা জাহ্নবীর জন্ম। তার তিন বছর পরে খুশির জন্ম হয়।
অর্জুন কপূর জানালেন, ‘‘যদি বলি আমরা একটাই পরিবার, সুখি পরিবার, তা হলে মিথ্যে বলা হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন পরিবার। যাঁরা একসঙ্গে বসবাস করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করছি। এক সঙ্গে থাকলে ভাল সময় কাটাই। তাও আমরা এক হয়ে উঠিনি।’’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কোনও দিন এই সম্পর্ক ঠিক হবে না।
তবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরে বনির দুই পক্ষের সন্তানরা একে অপরের কাছাকাছি আসেন।