Aindrila Sharma Death

ঐন্দ্রিলার পায়ে প্রণাম, চুম্বন সব্যসাচীর, চোখের জলে আঁকলেন শেষ বিদায়ের আল্পনা

রবিবার দুপুরে হাওড়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সন্ধ্যায় কেওড়াতলা শ্মশানে অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে শোকে পাথর সব্যসাচী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৪
ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে শোকে পাথর সব্যসাচী।

ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে শোকে পাথর সব্যসাচী। ফাইল চিত্র।

পরনে কালো টি-শার্ট। মুখে এক গাল দাড়ি। উস্কোখুস্কো চুল। চোখেমুখে নিঃস্তব্ধতা। ভালবাসার মানুষকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ‘কাছের মানুষ’ সব্যসাচী চৌধুরী। রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট। হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে সব্যসাচীর। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবরে রবিবাসরীয় দুপুরে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে তত ক্ষণে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। এমন কঠিন সময়ে ওই বেশেই দেখা গিয়েছে সব্যসাচীকে।

ভালবাসার মানুষ কাছছাড়া হয়েছে। আর কয়েক মুহূর্ত পড়েই তাঁর নশ্বর দেহ চিতার আগুনে বিলীন হয়ে যাবে। তার আগে ‘মনের মানুষ’কে শেষ বার ছুঁয়ে দেখলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার কপালে নিজে হাতে চন্দন পরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর লড়াইয়ের সবসময়ের সঙ্গী সব্যসাচী। একটি ভিডিয়োতে এমন দৃশ্যই ধরা পড়েছে। যা দেখে আবেগতাড়িত হয়েছেন বহু মানুষ। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, শায়িত রয়েছে ঐন্দ্রিলার দেহ। পাশে ঠায় বসে রয়েছেন সব্যসাচী। তার পর নিজে হাতে প্রিয়জনের কপালে চন্দন পরালেন অভিনেতা। তার পর ঐন্দ্রিলার দু’পা ছুঁয়ে চুম্বনও করতে দেখা গেল সব্যসাচীকে। সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার শেষ যুগলবন্দি যে এ ভাবে সকলে চাক্ষুষ করবেন, তা বোধ হয় কেউ ভাবেননি। তবে শেষ বার সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলাকে এ ভাবেই দেখলেন তাঁদের ভক্তরা।

দু’বার মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে যেন ‘ফিনিক্স’ হয়ে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। এই লড়াইয়ে তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন সব্যসাচী। গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে যখন হাওড়ার এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হল ঐন্দ্রিলাকে, তখনও পাশে ছিলেন সব্যসাচী। সমাজমাধ্যমে ক্রমাগত ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খবর দিচ্ছিলেন। এমনকি, অলৌকিক কিছু যাতে ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রার্থনাও বিফল হল। অলৌকিক কিছু ঘটল না। রবিবার দুপুরে না ফেরার দেখে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। তবে রেখে গেলেন তাঁর এক অসামান্য লড়াইয়ের কাহিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement