‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যে পল্লবী শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা ধারাবাহিকের আয়ু নাকি এখন মাত্র কয়েক মাসের। সেই চর্চার মাঝেই ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকটি সম্প্রতি ৭০০ পর্ব সম্পূর্ণ করল। আগামী মাসে ধারাবাহিকের সম্প্রচারের দু’বছর পূর্তি। দীর্ঘ সফরের নেপথ্য রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা, পর্দার পর্ণা।
সোমবার সাফল্য উদ্যাপন করতে ধারাবাহিকের ফ্লোরেই কিছু ক্ষণের বিরতি নেওয়া হয়। টালিগঞ্জের ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োয় উপস্থিত ‘৭০০ পর্ব’ লেখা কেক। ইউনিটের সকলে মিলে কেক কেটে কিছু ক্ষণ আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করলেন। তার পর আবার শুটিংয়ে ফেরার পালা। পল্লবী বললেন, “কেক কাটা ছাড়া আর আলাদা করে কোনও উদ্যাপন আমরা করিনি। আসলে সবাই দিন গুনছি। যাবতীয় উদ্যাপন আমরা এক হাজার পর্বের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছি।”
পল্লবী এবং রুবেল দাস (সৃজন)-এর জুটি এই ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ। পল্লবীর মতে, প্রথম দিন থেকে এই জুটিকে দর্শক পছন্দ না করলে সফর এত দীর্ঘ হত না। তবে জুটি ছাড়াও তাঁর ধারাবাহিকের সাফল্যের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে বলেই জানালেন পল্লবী। বললেন, “সাধারণত ধারাবাহিকে ভাল বা খারাপ চরিত্র দেখা যায়। আমাদের গল্পের চরিত্রটা অত্যন্ত জীবন্ত। তাই দর্শক সহজেই মিল খুঁজে পান।” কথাপ্রসঙ্গেই উদাহরণ দিলেন পল্লবী। ধারাবাহিকে নায়ক মাত্রেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ধরে নেওয়া হয় তাঁর কোনও ত্রুটি নেই। কিন্তু এই ধারাবাহিকে সৃজন একটু কিপটে। পল্লবী ধরিয়ে দিলেন, “পর্ণার শাশুড়ি কিন্তু তাকে হত্যা করতে চায় না, সে কিন্তু খলনায়ক নয়। আবার জেঠু বদমেজাজি হলেও তার মনটা ভাল।”
বাস্তবতা প্রসঙ্গেই পল্লবী জানালেন, গল্পে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা দর্শকের পছন্দ হয়। তাই দীর্ঘ সময় ধরে এই ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায় ভাল নম্বর পেয়ে এসেছে। পল্লবীর কথায়, “মহিলাদের ঋতুকালীন সমস্যা নিয়ে আমরা বার্তা দিয়েছি। আবার রাতে মহিলারা ঝকঝকে শাড়ির পরিবর্তে বাস্তবের মতো রাতপোশাকেই ঘুমাতে যান, সেটাও দেখানোর চেষ্টা করেছি।”
সমাজমাধ্যমে পল্লবীর নির্দিষ্ট অনুরাগী বৃত্ত রয়েছে। তাঁদের তরফেও এই ধারাবাহিক নিয়ে ইতিবাচক বার্তাই পেয়েছেন বলে জানালেন পল্লবী। বললেন, “দর্শকের জন্যই তো আমাদের কাজ। তাই তাঁদের ভালোবাসা যেন আগামী দিনেও আমাদের সঙ্গে থাকে, সেটাই চাই।”