সোহম সত্যিই উগ্রচণ্ড? নিজস্ব চিত্র।
বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী চড় মেরেছেন। সে কথা স্বীকার করেছেন। তার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়েছেন। তবু সমালোচনার শেষ নেই! সমালোচনা ছাপিয়ে কটাক্ষ, কটূক্তির বন্যা বয়ে যাচ্ছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে সোহম অভিনীত ‘অমানুষ’ ছবি নিয়ে কী ব্যঙ্গ! ওই ছবিতে আমি ওর সঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। তখন কাছ থেকে দেখেছি। এমনিতেই আমার থেকে অনেক ছোট। স্বভাবেও প্রচণ্ড ছেলেমানুষ। অত্যন্ত আন্তরিক। কিছুটা যেন ভিতুও। শুটিং করতে করতে দেখেছি, রাত গড়াচ্ছে। নিজের চরিত্রকে নিখুঁত করতে সোহম একের পর এক শট দিয়ে যাচ্ছে। সেই ছেলে নিজের ক্ষমতা দেখাতে এক রেস্তরাঁর মালিককে তিন-চারটে সপাট চড় মারল! বললেই বিশ্বাস করব?
না, আমি বিশ্বাস করিনি। তা বলে ভাববেন না ওর চড় মারাকে সমর্থন করছি। যা করেছে অন্যায় করেছে। একে অভিনেতা। তার উপরে জননেতা। এই আচরণ ওকে মানায় না। তার পরেও বলব, অকারণে এ রকম হঠকারিতা করার মতো ছেলে সোহম নয়। নিশ্চয়ই ওকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। না হয় এমন কিছু ঘটেছে, যা ওকে এই আচরণে বাধ্য করেছে। এই জায়গা থেকে বলব, ভুল মানুষেরই হয়। একমাত্র নিখুঁত, নির্ভুল দু’জন—ঈশ্বর আর শয়তান। বিনোদন দুনিয়ার মানুষেরাও দিনের শেষে রক্তমাংসের মানুষ। তাঁদেরও সংযমে চিড় খেতে পারে। যদিও এটা অভিপ্রেত নয়। সেটা যে নয়, তা সোহম নিজেও বুঝেছে। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছে।
আমার খারাপ লাগা কোথায় জানেন? তার পরেও ওকে মানুষ ছাড়ছে না! কটাক্ষের পর কটাক্ষ। কটূক্তির পর কটূক্তি। এটা কেন?
এই জায়গা থেকে সমাজমাধ্যমে একটা পোস্ট করেছি। সোহমকে যেমন চিনি, ওর সঙ্গে কাজ করতে করতে যেমন দেখেছি— তাই নিয়ে। এই বার শুরু হয়েছে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা। অনুসরণকারীরা আমার পোস্টে সোহমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। মানুষের ভাবনা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, ভাবতেই অবাক লাগে!
এই সব দেখেশুনেই সোহম তোকে বলছি, বাবু, তুই বড্ড ছোট। তার উপরে রক্তে চিনির মাত্রা অত্যধিক। এতেও মেজাজ হারাতে পারিস। অনেকেই জানেন না, তোর দিন শুরু হয় ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়ে। তোর স্ত্রী-সন্তান আছে। গায়ে অভিনেতা-জননেতার তকমাও আছে। ফলে, নিজেকে সামলে চল। মাথা ঠান্ডা রাখ। এমন কিছু করিস না, যাতে তোর দিকে আবার আঙুল ওঠে।