Mental Health

মনের অসুখকে হেলাফেলা নয়, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে মন ভাল করবে বলিউডের এই ৫ ছবি

মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি বার বার তুলে ধরেছে বলিউড। ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে রইল তেমন পাঁচটি ছবির তালিকা, যা দেখলে মনের অসুখের গুরুত্ব বোঝা যায় সহজেই।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০৮
মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ডিয়ার জ়িন্দেগি’।

মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ডিয়ার জ়িন্দেগি’।

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের খেয়াল রাখাও সমান জরুরি, এমনটাই পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, মানসিক স্বাস্থ্যকে কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা চলবে না। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতার চেয়েও মনের অসুখ সারিয়ে তোলা বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। তাই ভাল থাকার জন্য শরীর এবং মনের স্বাস্থ্য উপযুক্ত ভারসাম্য বজায় রাখতে বলেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের পরামর্শ সত্ত্বেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে এখনও অনেকে যত্নশীল নন। অনেকেই এখনও মনের অসুখকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে তাই তার জন্য আলাদা দিন ধার্য করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছবিতে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি তুলে ধরেছে বলিউড। ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে রইল তেমন ৫টি ছবির তালিকা, যা দেখলে মনের অসুখ এবং তাকে ঘিরে বেড়ে ওঠা সমস্যাগুলির গুরুত্ব বোঝা যায় সহজেই।

Advertisement

ডিয়ার জি়ন্দেগি

শাহরুখ খান এবং আলিয়া ভট্ট অভিনীত ২০১৬ সালের এই ছবি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেই আলোকপাত করেছে। বক্স অফিসে এই ছবি সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল লাভের অঙ্ক। গতানুগতিক প্রেম বা মারকাটারি অ্যাকশনের গল্প বলেনি ‘ডিয়ার জি়ন্দেগি’। রোজকার সমস্যা, সম্পর্কের জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে জীবনে কী ভাবে ভাল থাকতে হয়, আলিয়াকে তা শিখিয়েছিলেন ‘মনোবিদ’ শাহরুখ। সমালোচকদের কাছেও এই ছবি যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

মাই নেম ইজ় খান

করণ জোহর পরিচালিত এই ছবির হাত ধরে অনেক দিন পর শাহরুখ-কাজল জুটিকে বড় পর্দায় দেখতে পেয়েছিলেন ভক্তরা। তবে জুটির জনপ্রিয়তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ছবির রসদ। অ্যাসপারজার্স সিনড্রোমে আক্রান্ত শাহরুখ (রিজওয়ান) এবং তাঁর সঙ্গী হিসাবে কাজলের (মন্দিরা) অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। শত বিপত্তির মাঝেও জীবনের উপর ভরসা রাখতে শেখায় এই ‘মাই নেম ইজ় খান’।

তারে জ়ামিন পর

আমির খানের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ২০০৭ সালে মুক্তি পায় ‘তারে জ়ামিন পর’। বলিউডের জনপ্রিয়তম ছবিগুলির তালিকায় অনায়াসে এই ছবির নাম উঠে আসে। আমির খানের সঙ্গে শিশু অভিনেতা দর্শিল সফারি মুগ্ধ করেছিলেন দর্শকদের। ৮ বছরের ঈশান ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত। সমাজ, বিদ্যালয় এমনকি বাবা-মাও যখন তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখন তাঁকে আগলেছেন ‘নিকুম্ভ স্যার’। এই ছবি বাবা-মায়েদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে রয়েছে।

ছিছোরে

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জীবদ্দশায় শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ছিছোরে’। বক্স অফিসেও এই ছবি সাফল্য পেয়েছে। সুশান্ত, শ্রদ্ধা কপূররা এই ছবিতে শিখিয়েছেন মানসিক অবসাদের সঙ্গে কী ভাবে লড়াই করতে হয়। হাল না ছেড়ে জীবনের প্রতিবন্ধকতাগুলি একে একে পেরিয়ে যাওয়াই এই ছবির মূল প্রতিপাদ্য। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় সাফল্যই যে শেষ কথা নয়, সেই বার্তাও দিয়েছে ‘ছিছোরে’।

কার্তিক কলিং কার্তিক

২০১০ সালে মুক্তি পায় দীপিকা পাড়ুকোন এবং ফারহান আখতার অভিনীত ‘কার্তিক কলিং কার্তিক’। বক্স অফিসে এই ছবিও সাফল্যের মুখ দেখেছিল। কার্তিকের (ফারহান) মানসিক অবসাদকে কেন্দ্র করেই এই ছবির কাহিনি গড়ে উঠেছে। মনের অসুখ সারাতে কার্তিকের পাশে থেকেছে সোনালি (দীপিকা)।

আরও পড়ুন
Advertisement