রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভোটের প্রচার তো রয়েইছে। কিন্তু তাঁর জয়ের পিছনে সমাজমাধ্যমে নানা রকম মশকরা-পোস্ট, মিম আদতে সাহায্যই করেছে বলে মনে করেন হুগলি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, অভিনয় জগতের সতীর্থ এবং হুগলিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী, বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এক হাঁড়ি দই উপহার পাঠাবেন বলে জানালেন রচনা।
মঙ্গলবার হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেটকে হারিয়েছেন প্রায় ৭৬ হাজার ভোটে। বুধবার জয়ের পর চুঁচুড়ার ওলাইচণ্ডীতলা মন্দিরে যান রচনা। শাশুড়ি প্রয়াত হয়েছেন কয়েক দিন আগে। তাই পুজো দিতে পারেননি। মন্দিরে দূর থেকে ঠাকুর প্রণাম করেন। মন্দির থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী জানান, হুগলির সাত লক্ষের বেশি মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন। আর যাঁরা তাকে ভোট দেননি, পাঁচ বছর পর তাঁকেই ভোট দেবেন বলে আশাবাদী রচনা। প্রচারে বেরিয়ে ধোঁয়া দেখে হুগলিতে শিল্পের অভাব নেই মন্তব্য করে সমাজমাধ্যমে সমালোচিত হয়েছিলেন রচনা। তার পর তাঁর হাসি থেকে সিঙ্গুরের দই খেয়ে সেখানকার গরুর প্রশংসা করা— সবই ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। এ নিয়ে রচনা হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘যারা আমাকে নিয়ে মিম করেছিল, তাদের ধন্যবাদ। কারণ, আমার অনেক পাবলিসিটি (প্রচার) হয়েছে ওই মিমের জন্য।’’ সাংসদ হলে হুগলির মহিলাদের তাঁর সঞ্চালনা করা টিভি শোয়ে অগ্রাধিকার দেবেন বলায় বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সাংসদ হয়ে সেই ‘শো’ কি আর করবেন? আবার হাসলেন রচনা। ঝট করে তাঁর জবাব, ‘‘দিদি নম্বর ওয়ান না-করলে হুগলির মানুষ আমায় কেটে রেখে দেবেন।’’ বস্তুত, ভোটে জয়ের পরেই তৃণমূলের অভিনেত্রী তারকা বলেছেন তিনি এখন ‘হুগলি নম্বর ওয়ান’। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এক জনই— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বার তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেলেব প্রার্থী’রা জয়ী হয়েছেন। দেব থেকে জুন মালিয়া, শতাব্দী রায় থেকে সায়নী ঘোষ এবং তিনি। এই অনুভূতিটা কেমন? রচনার জবাব, ‘‘সেলেব সাংসদেরা কী কাজ করে এ বার দেখুন। আমি হুগলিবাসীর জন্য অনেক কাজ করব।’’ আর পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোনও বার্তা? সিঙ্গুরে দই নিয়ে তাঁর প্রশংসার পর খোঁচা দিয়েছিলেন বিজেপির লকেট। রচনা সেই রেশ টেনেই হয়তো বলেন, ‘‘লকেটকে এক হাঁড়ি দই পাঠিয়ে দেব।’’