বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত কোচবিহার। তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্মশিবির। তার মধ্যেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের সময় এক যুবকের বন্দুক বাগিয়ে ভয় দেখানোর দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। পাল্টা বাঁশ-লাঠি হাতে নিয়ে ওই যুবককে তাড়া করতে দেখা যায় কয়েক জনকে। এই ঘটনায় শোরগোল নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ডাউয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভজনপুর এলাকায় একটি গন্ডগোল হয়।
কোচবিহার লোকসভায় এ বার জয় পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে প্রায় ৩৯ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। ফল বেরোনোর পর কোচবিহারের নানা জায়গায় গন্ডগোল শুরু হয়। নাটাবাড়িতে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে তৃণমূল। তাতে তাদের তিন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। আহতেরা এখন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে বুধবার সকালে মাথাভাঙার ফুলবাড়িয়া এলাকায় বিনয় বর্মণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। মাথাভাঙ্গা এবং ডাউয়াগুড়ি এলাকায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তার মধ্যেই একটি ঘটনা ছবি ধরা পড়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে ওই গন্ডগোল হয়েছে। এতে তাদের কোনও হাত নেই।
ভোটের পরে গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘গতকাল নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কর্মীরা খুশি। আজ (বুধবার) সকালে ডাউয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভজনপুর এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনা করছিলেন। সেই সময় বিজেপির দুষ্কৃতীরা বন্দুক এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওঁদের উপর হামলা চালায়। সেই হামলায় তিন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। এক জন বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই ভিডিয়ো আমরাই প্রকাশ করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কোচবিহারের এই পরাজয় বিজেপি মানতে পারছে না। তাই দুষ্কৃতীদের দিয়ে হামলা চালাচ্ছে।’’
অন্য দিকে, বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই হামলার ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা জেলা জুড়ে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। বহু বিজেপি কর্মী বাড়িঘর ছেড়ে দলীয় জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।’’ যদিও বন্দুক নিয়ে দাপাদাপির বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।