Lok Sabha Election 2024

শুভেন্দুকে ভোটপ্রচারের অনুমতি দেবেন না, ‘খলিস্তান’ বিতর্কে কমিশনে আর্জি শিখ সংগঠনের

নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়ে শিখ সংগঠনটি দাবি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে যেন বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রচারে যেন অংশগ্রহণ না করতে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৯
The Sikh organization has written to the Election Commission requesting that Suvendu Adhikari not be allowed to participate in the Lok Sabha election campaign

শুভেন্দু অধিকারী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানাল শিখ সংগঠন। রবিবার নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ‘গুরুদ্বার বড়া শিখ সংগত’। সেখানে তারা লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে যেন বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে প্রচারে অংশগ্রহণ না করতে দেওয়া হয়।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারে কর্মরত এক শিখ আইপিএস আধিকারিককে খলিস্তানি বলে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। যা শিখ ধর্মাবলম্বীদের আহত করেছে। তাই অবিলম্বে লোকসভা ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক ভারতের নির্বাচন কমিশন। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যান বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে ছিল বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালি প্রবেশের আগেই ধামাখালি এলাকায় ব্যারিকেড গড়ে শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ। সেই সময়ই পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব এবং কর্মী-সমর্থকদের। অভিযোগ, সেই সময়ই ওই জায়গায় কর্তব্যরত পাগড়িধারী আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংহ, এসএস (আইবি)-র উদ্দেশে ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য উড়ে আসে বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে।

বিরোধী দলনেতার দাবি ছিল, তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গীরাও এই ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘পাকিস্তানি-খলিস্তানি এ সব বলার দরকার নেই আমাদের। ওই অফিসার রূঢ় ব্যবহার করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমি বা আমাদের সঙ্গীরা কোনও ধর্মকে আক্রমণ করে কিছু বলিনি। বলবও না। আমরা গুরু নানকজিকে প্রণাম করি। শিখ ধর্মকে সম্মান করি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে শিখদের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আমরা রাষ্ট্রবাদে বিশ্বাসী। সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরোধিতা করি।’’

বিরোধী দলনেতা এমন প্রতিক্রিয়া জানালেও, ক্ষোভ কমেনি শিখ সংগঠনগুলির। উত্তর কলকাতায় বিজেপির অফিসের বাইরে ধর্না দিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তারা। সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেও প্রতিবাদ জানিয়েছিল শিখ সংগঠনটি। রবিবার নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি আবারও রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে তারা।

এমন দাবি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথমত শুভেন্দুবাবু কখনওই এমন মন্তব্য করেননি। তিনি তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। আসলে তৃণমূল ছদ্মবেশে কয়েকজনকে এ সব করতে ময়দানে নামিয়েছে। আমরা মনে করি এই ধরনের দাবি করার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ভাবে বিজেপি বা শুভেন্দু অধিকারীকে দুর্বল করা যাবে না। লোকসভা ভোটে নিশ্চিত হারের কথা বুঝতে পেরেই এমন সব প্রয়াস চালাচ্ছে শাসকদল। ওদের এমন ষড়যন্ত্র সফল হবে না। রাজনৈতিক লড়াইয়ে সফল হবে না জেনেই ঘুরপথে আক্রমণ করা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement