মঙ্গল পাণ্ডে। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক হওয়া কি কপাল খুলে দেয় বিজেপি নেতাদের? ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ স্লোগান তুলে বিখ্যাত হওয়া সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বাংলা ছেড়ে যাওয়ার পরেই মন্ত্রিত্বের প্রাপ্তিযোগ সকলেরই মনে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় জিতে পর পর দু’বার যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেন। এর পরে রাজ্যে আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সদ্যই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ইনদওর-১ আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন। আর তার পরেই মন্ত্রী। মোহন যাদবের মন্ত্রিসভায় কৈলাসের হাতে রয়েছে নগরোন্নয় ও আবাসন দফতর। পরিষদীয় দফতরও তাঁর হাতে।
এ বার মন্ত্রী হয়ে গেলেন রাজ্য বিজেপির বর্তমান পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। আগেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে নীতীশ কুমার বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হলে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী হন মঙ্গল। এর পরে জোট ভেঙে যায়। বিহারের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বাংলার পর্যবেক্ষক হন ২০২২ সালে। এখন বিহারে ফের বিজেপির জোট সরকার। আর নীতীশ মন্ত্রিসভায় আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে মঙ্গল। এ বার স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কৃষি দফতরও তাঁর হাতেই।
বিজেপির রীতি অনুযায়ী সরকারে মন্ত্রী থাকলে তিনি সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকেন না। ইনদওর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র কৈলাস বাংলার পর্যবেক্ষক থাকার সময়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন। কিন্তু গত ডিসেম্বরে তিনি মন্ত্রী হওয়ার পরেই সর্বভারতীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তবে কি এ বার মঙ্গলকেও শুধু মন্ত্রিত্ব সামলাতে হবে! এই প্রসঙ্গে মঙ্গলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আপাতত তো আমি দায়িত্বেই রয়েছি। তবে কোনও বদল হবে কি না সেটা বলতে পারবেন শুধু সর্বভারতীয় সভাপতি। এই সব বিষয় শীর্ষ নেতৃত্বই ঠিক করেন। আমরা সেই নির্দেশ মেনে নিই এবং পালন করি।’’
বিজেপির রাজ্য নেতারা অবশ্য কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে রাজি নন। তবে এটা মনে করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেই থাকবেন মঙ্গল। এর পরে কী হবে? নতুন কে আসবেন? ‘সময় সব বলবে’ জানিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাঁদের অনেকের দাবি, সাধারণ ভাবে মন্ত্রী হলে দলের অন্য দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার রীতি থাকলেও এক সঙ্গে দুই পদে থাকার নজিরও রয়েছে বিজেপিতে। সাময়িক ভাবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দলের সভাপতির। ফলে মঙ্গল নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন জেপি নড্ডাই।