Adar Poonawalla

‘রবিবার স্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালবাসে’, ৯০ ঘণ্টা কাজ করা নিয়ে কটাক্ষ পুনাওয়ালারও

মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রাকে সমর্থন করেছেন ‘সেরাম ইনস্টিটিউট’-এর কর্ণধার অদার পুনাওয়ালাও। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় নিজস্বী পোস্ট করে অদার লিখে জানিয়েছেন, পরিমাণের চেয়ে কাজের গুণমান বিচার করা উচিত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৪
‘সেরাম ইনস্টিটিউট’-এর কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা।

‘সেরাম ইনস্টিটিউট’-এর কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত।

সারা সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করা প্রয়োজন। এমনকি রবিবার বাড়িতে বসে ‘স্ত্রীর মুখ না দেখে’ অফিস গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। তা নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রাকে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী খুব ভাল। ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালবাসি আমি। ওর সঙ্গে সময় কাটাই আমি।’’ আনন্দকে সমর্থন করেছেন ‘সেরাম ইনস্টিটিউট’-এর কর্ণধার অদার পুনাওয়ালাও।

Advertisement

রবিবার নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় নিজস্বী পোস্ট করে অদার লিখে জানিয়েছেন, তিনি আনন্দের সঙ্গে সহমত। অদার লেখেন, ‘‘আমার স্ত্রী (নাতাশা পুনাওয়ালা) মনে করে আমি সুন্দর। রবিবার ও আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালবাসে। পরিমাণের চেয়ে কাজের গুণমান বিচার করা উচিত।’’ ছবিটি পোস্ট করে আনন্দ এবং স্ত্রী নাতাশার নাম ‘ট্যাগ’ করে তাঁদের নজর কেড়েছেন তিনি।

কর্মজীবন নিয়ে এলঅ্যান্ডটি সংস্থার অধিকর্তা বলেছিলেন, ‘‘সব কিছু যদি আমার নিয়ন্ত্রণে থাকত তা হলে আমি রবিবারও আমার কর্মীদের কাজ করতে বলতাম। কিন্তু আমি তা পারি না। আমি নিজে রবিবার কাজ করি। বাড়িতে এত ক্ষণ থেকে কী করবে মানুষ? কত ক্ষণ একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীর মুখ দেখবেন? একজন স্ত্রীই বা কত ক্ষণ বাড়ি বসে তাঁর স্বামীর মুখ দেখতে পারবেন? তার চেয়ে ভাল হয় সকলে অফিসে গিয়ে কাজ করুন। তাতে জীবনে উন্নতি হবে।’’ এমন মন্তব্যের পর চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে কটাক্ষের শিকার হন সুব্রহ্মণ্যন। মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধারের পাশাপাশি পুনাওয়ালার কণ্ঠেও যেন কটাক্ষের সুর ভেসে উঠল।

Advertisement
আরও পড়ুন