তেলঙ্গানার প্রাক্তন রাজ্যপাল তমিলিসাই সৌন্দররাজন। — ফাইল চিত্র।
জল্পনাই সত্যি হল। তেলঙ্গানার রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার বিজেপিতে যোগ দিলেন তমিলিসাই সৌন্দররাজন। শুধু তেলঙ্গানা নয়, পুদুচেরির লেফ্টেন্যান্ট গর্ভনরের দায়িত্বও ছিল তাঁর কাঁধে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে এই দুই সাংবিধানিক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
সোমবার তেলঙ্গানার রাজ্যপাল পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তমিলিসাই। রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। পাশাপাশি পুদুচেরির লেফ্টেন্যান্ট গর্ভনরের পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান তিনি। কেন তিনি আচমকাই ইস্তফা দিলেন, সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল। বিজেপি সূ্ত্রে দাবি করা হয়েছিল, তমিলিসাই সাংবিধানিক পদ ছেড়ে আবার বিজেপিতে যোগ দেবেন। শুধু তা-ই নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারেন তিনি।
সেই জল্পনা সত্যি করে বুধবার চেন্নাইয়ের বিজেপি দফতরে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন তেলঙ্গানার প্রাক্তন রাজ্যপাল। এ বার কি লোকসভায় লড়বেন তিনি? পদ্মশিবিরে প্রত্যাবর্তন করে তমিলিসাই বলেন, ‘‘আমি নির্বাচনে লড়তে চাই। দলের কাছে আমি আমার ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। আবার বিজেপি সদস্যপদ ফিরে পেয়ে খুশি। রাজ্যপাল পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। তার জন্য আমার একদম অনুশোচনা নেই। তামিলনাড়ুতে পদ্ম ফুটবেই।’’
তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তমিলিসাই ছিলেন তামিলনাড়ু বিজেপির এক জন সক্রিয় সদস্য। তামিলনাড়ুর বিজেপি সভানেত্রী তমিলিসাইকে ২০১৯ সালে নবগঠিত তেলঙ্গানার প্রথম রাজ্যপাল করা হয়। তার পর থেকে রবিবার পর্যন্ত সেই দায়িত্বই সামলে এসেছেন তিনি। তাঁকে ২০২১ সালে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পুদুচেরির লেফ্টেন্যান্ট গর্ভনর পদেও বসানো হয়েছিল।
তমিলিসাই অতীতেও নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে চেন্নাই উত্তর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু জয়লাভ করতে পারেননি। ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর থুথুকুডি আসন থেকে বিজেপির টিকিট পেয়েছিলেন তমিলিসাই। তবে ডিএমকে প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।