এমকে স্ট্যালিন। —ফাইল চিত্র
এক দেশ এক ভোট থেকে সিএএ, নিজেদের নির্বাচনী ইস্তাহারে জাতীয় রাজনীতিতে চর্চিত প্রায় সব বিষয়েরই বিরোধিতা করল তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। একই সঙ্গে সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক বিষয়কে। বুধবার দলের ইস্তাহার প্রকাশ করেন ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। ওই মঞ্চ থেকেই লোকসভা নির্বাচনে ডিএমকে-র বেশ কিছু প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ইস্তাহার তৈরির বিষয়ে বোন তথা ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝির প্রশংসা করেন স্ট্যালিন। বলেন, “দ্রাবিড় আদর্শে যে উন্নয়ন তামিলনাড়ুতে হয়েছে, তা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”
সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে চর্চা এবং বিতর্কের মধ্যেই ডিএমকে জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তারা এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশে কার্যকর করতে দেবে না। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) প্রত্যাহার করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। জাতীয় রাজনীতির পরিসরে আর এক বিতর্কিত বিষয় এক দেশ এক ভোট বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে স্ট্যালিনের দল।
দেশে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে যে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা, সেই নিট-এর বিরোধিতা করা হয়েছে ইস্তাহারে। বলা হয়েছে ক্ষমতায় এলে এই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। দীর্ঘ দিন ধরেই নিট-এর বিরুদ্ধে সরব ডিএমকে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তারা জানিয়েছিল, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এই এক জানলা ব্যবস্থা শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে খর্ব করছে। অধুনা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ডিএমকে।
এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিলদের ভারতে ফিরিয়ে আনা, প্রতি মাসে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া, সরকারি স্কুলে নিখরচায় পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া, কলেজপড়ুয়াদের বিনামূল্যে এক জিবি করে ইন্টারনেট দেওয়ার কথা উল্লিখিত হয়েছে ইস্তাহারে। আইনসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, সারা রাজ্যে বিনামূল্যে ওয়াই ফাই পরিষেবা দেওয়া, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫০০ টাকা কমানোর কথাও বলা হয়েছে সেখানে। তামিলনাড়ুতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৃহত্তম শরিক ডিএমকে। তামিলনাড়ুর ৩৯টি লোকসভা আসনে ১৯ এপ্রিল, এক দফাতেই নির্বাচন হবে।