অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আপাতত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি। কয়লা পাচার মামলায় নিজেদের অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার অভিষেকের রক্ষাকবচ বহাল রেখে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ‘কড়া পদক্ষেপ’ করতে পারবে না ইডি। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এই প্রসঙ্গে অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেন, “মামলাকারী এক জন সাংসদ। তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তদন্তে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন আদালতে ইডির হয়ে সওয়াল করা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু।” একই সঙ্গে তিনি জানান, ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর আর এই মামলায় অভিষেককে তলব করেনি ইডি। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসের পর কয়লা পাচার মামলায় তলব করা হয়নি রুজিরাকেও। তাই ওই দু’জনকে তলবের বিষয়ে কোনও দ্রুততা নেই তদন্তকারী সংস্থাটির।
কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এ ব্যাপারে এর আগে দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ইডির সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা আবেদনে জানান, তাঁদের যেন কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০২২ সালের ১৭ মে সেই মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট অভিষেকদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। দিল্লির বদলে তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রীকে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তবে একই সঙ্গে এ-ও বলে দেয় যে, অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে যেন কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের কোনও হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকেই।
এর পরে অভিষেক এবং রুজিরাকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি-র আধিকারিকরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেকের রক্ষাকবচ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূলের সেনাপতির বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই বলে জানানো হয়।