তৃণমূলের ‘থিম সং’-এর শুটিংয়ে শতাব্দী রায়। —নিজস্ব চিত্র।
তিন বারের সাংসদ এ বার চতুর্থ বার লোকসভা ভোটে লড়াই করছেন। কিন্তু ভোটের আগে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে চিন্তিত নন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের দুই পক্ষের গন্ডগোল নিয়ে শতাব্দী বললেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না। ওটা এখন তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গেছে।’’
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সিউড়ি তৃণমূল কার্যালয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিংহ, অভিজিৎ সিংহ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মাল এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়। বুধবারের ওই বৈঠকে বীরভূম জেলায় লোকসভা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা করে তৃণমূল। পাশাপাশি বিজেপির দখলে থাকা দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকায় কী ভাবে ‘বেশি মার্জিনে ভোট টানা যাবে’, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর। একই সঙ্গে ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তা নিয়েও কথাবার্তা চলে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তবে এ দিনের ওই বৈঠকের পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তেই শতাব্দীর জবাব, ‘‘কোথায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়েছে, তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ো না। কারণ, যে লোকগুলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করছে বলে রিপোর্ট হবে, তারাই দু’দিন পর হাতে হাত ধরে ভোট করতে যাবে। তখন ওই রিপোর্টটা (খবর) বেকার হয়ে যাবে।’’ উল্লেখ্য, সাঁইথিয়ায় অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে বীরভূমের বিদায়ী সাংসদকে প্রশ্ন করতেই তিনি হেসে ফেলেন। হাসতে হাসতেই সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওটা তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গেছে। ইলেকশন চলে এলে আবার তৃণমূলের সবাই এক হয়ে কাজ করবে।’’
শতাব্দীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের মূল কারণ হল কাটমানির ভাগ নিয়ে লড়াই। কে কত টাকা ভাগ নেবে, তাই নিয়ে লড়াই চলছে।’’ বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘শতাব্দীর জমানা শেষ। এখন নতুন শতাব্দীকে চাইছে মানুষ। এ বার মানুষ মোদীর গ্যারান্টিতে ভরসা করবে। আগামী ১৩ মে বীরভূমের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবেন।’’ অন্য দিকে, লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে দলের ‘থিম সং’-এর ফোটোশুট করেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। বুধবার সকালে সিউড়ির তসরকাটা জঙ্গলে শুটিং দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।