Pappu Yadav

‘কী খামতি ছিল আমার?’ পূর্ণিয়া থেকে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়ে মঞ্চে কেঁদেই ফেললেন পাপ্পু

পূর্ণিয়া নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয় আরজেডি এবং পাপ্পুর মধ্যে। কংগ্রেস পূর্ণিয়া ছেড়ে দিলেও তারা চেয়েছিল সেখান থেকে পাপ্পুকে টিকিট দেওয়া হোক। কিন্তু লালুপ্রসাদের দল তা মানতে নারাজ ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৩
পাপ্পু যাদব।

পাপ্পু যাদব। ছবি পিটিআই।

বিহারের রাজনীতিতে ‘বাহুবলী’ পাপ্পু যাদবকে নিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’তে কংগ্রেস এবং আরজেডির মধ্যে চাপানউতর তৈরি হয়েছিল। পূর্ণিয়া লোকসভা কেন্দ্র পাপ্পুকে ছাড়তে চেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের দল তাতে রাজি ছিল না। শেষ পর্যন্ত হাত শিবিরে থেকেও নির্দল প্রার্থী হিসাবে পূর্ণিয়া থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন পাপ্পু।

Advertisement

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে হঠাৎই পাপ্পু কাঁদতে শুরু করেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমার মধ্যে কী খামতি ছিল?’’ শুধু তা-ই নয়, লালু এবং তেজস্বী যাদবকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘পূর্ণিয়া থেকে বার বার লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও আরজেডি সেখানে নিজেদের প্রার্থী দিয়ে দিল। কংগ্রেস নেতৃত্বও চেয়েছিলেন আমি পূর্ণিয়া থেকে লড়ি। কিন্তু আমাকে অন্য আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে বলা হয়েছিল। আমি কেন অন্য আসন থেকে লড়ব?’’

এর পরই পাপ্পু বলেন, ‘‘কেন আমাকে বার বার বলা হচ্ছিল মাধেপুর বা সুপলে যেতে? কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে আমি লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমি পূর্ণিয়া ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না।’’

পূর্ণিয়া নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয় আরজেডি এবং পাপ্পুর মধ্যে। কংগ্রেস পূর্ণিয়া ছেড়ে দিলেও তারা চেয়েছিল সেখান থেকে পাপ্পুকে টিকিট দেওয়া হোক। কিন্তু লালুর দল তা মানতে নারাজ ছিল। আরজেডি পূর্ণিয়া থেকে নিজেদের দলের প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। ভীমা ভারতীকে প্রার্থী করেন লালুপ্রসাদ। তার পরই নির্দল প্রার্থী হিসাবে পূর্ণিয়া থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন পাপ্পু।

পূর্ব-মধ্য বিহারের পূর্ণিয়া এবং আশপাশের অঞ্চলের ‘বাহুবলী’ নেতা হিসাবে পরিচিত পাপ্পু একদা লালুর আস্থাভাজন ছিলেন। সিপিএম নেতা অজিত সরকারের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি, পরে লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন পাপ্পু। পরে আবার আরজেডিতে ফিরে যান। ২০১৪-এর লোকসভা ভোটে মধেপুরা আসনে আরজেডি প্রার্থী হিসাবে জেডি(ইউ)-এর শরদ যাদবকে হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫-য় লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হন।

আরও পড়ুন
Advertisement