গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
ভোটে বেআইনি অর্থ বা কালো টাকা ব্যবহার করে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে ফয়দা তুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নতুন পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার তারা জানিয়েছে, এখন থেকে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে ব্যাঙ্কের গাড়িতেও। বিশেষ করে এটিএমে টাকা পাঠানো হয় যে গাড়িতে সেই গাড়িকেও দিতে হবে বৈধতার পরীক্ষা।
গত শনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোটে চার ‘ম’ বা ‘এম’-এর অপব্যবহার রুখতে বিশেষ নজর দেবেন তিনি। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘মানি পাওয়ার’ বা আর্থিক ক্ষমতার প্রয়োগ। দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভোট কেনার প্রবণতা রয়েছে বলে জানিয়ে কমিশনার বলেছিলেন, “এ ধরনের ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে।” কী ভাবে দমন করা হবে, তা ধীরে ধীরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবারের ঘোষণা সেই পদক্ষেপেরই সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ভোটের আগের নাকা চেকিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে ব্যাঙ্কের গাড়িকেও। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হবে সমস্ত গাড়ির উপরেই। এর পাশাপাশি কালো টাকা এবং অবৈধ লেনদেনের উপর নজরদারি করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বুধবার তারা জানিয়েছে, এটিএমে টাকা পাঠানোর গাড়িতেও নজর রাখতে হবে। এই ধরনের কোনও গাড়িই যেন নাকা চেকিংয়ে বাদ না যায়।
কী ভাবে নজরদারি চালানো হবে ওই সব গাড়িতে? নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে এই ধরনের ব্যাঙ্কের গাড়ি বা এটিএমে টাকা ভরার গাড়িতে ‘কিউআর কোড’ ব্যবহার করতে হবে। ‘কিউআর কোড’-এ গাড়িতে থাকা টাকার হিসাব দেওয়া থাকবে। সেই হিসাব না মিললে টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।