Meteorological Department

আবহাওয়া অফিসে কাজ করতে চান? জেনে নিন খুঁটিনাটি

এই প্রতিবেদনে আবহবিদ হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৪৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বায়ুমণ্ডল নিয়ে সর্ব ক্ষণ পড়াশোনা এবং পর্যালোচনা করে যেতে হয় এক জন আবহাওয়াবিদকে। শিক্ষার্থীকে বিশেষ যোগ্যতা অর্জন করতে হয় এই বিভাগে কাজ করার জন্য। এই প্রতিবেদনে আবহবিদ হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

যোগ্যতা

Advertisement

দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ থাকতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, গণিত ও পরিসংখ্যান এবং কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর শিক্ষার্থীদের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানে (অ্যাটমসফেরিক সায়েন্স) বিটেক এবং আববিদ্যা নিয়ে বিএসসি করতে হয়। এই দু’টি কোর্সের জন্য শিক্ষার্থীকে জেইই প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করতে হয়। আবহাওয়াবিদ্যায় আইআইটি বিটেক বা বিএসসি কোর্স করতে হলে জেইই (জয়েন্টএন্ট্রান্স এক্সাম) মেইন এবং জেইই অ্যাডভ্যান্স প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করতে হবে। আবহবিদ্যা নিয়ে কেউ এমটেক বা এমএসসি করতে চাইলে তাঁকে অবশ্যই বিটেক বা বিএসসি পাশ করতে হবে। এবং এমটেক, এমএসসি পড়ার জন্য শিক্ষার্থীকে গেট (গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার ট্রেনি) প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করতে হয়।

পশ্চিমবঙ্গের যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে আবহবিদ্যা নিয়ে পড়ানো হয়:

ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি খড়্গপুর (আইআইটি) বিশ্ববিদ্যালয়,

যাদবপুরবিশ্ববিদ্যালয়

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ

এ ছাড়া আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে আবহবিদ্যা নিয়ে পড়ানো হয়।

কী কী কোর্স রয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানে (অ্যাটমসফেরিক সায়েন্স):

৪ বছরের স্নাতক কোর্সএটি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং এর ভৌত বৈশিষ্ট্য, গতি, বাস্তুতন্ত্র এবংকী ভাবে এগুলি জলবায়ু এবং মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, সেই বিষয়গুলি থাকে এই কোর্সের অভ্যন্তরে। ভারতের আইআইটি দিল্লি এবং কেরালার কোচিন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়তেই শুধু মাত্র এই কোর্স করানো হয়। শিক্ষার্থীরা জেইই মেন পরীক্ষার মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হতে পারেন।

আবহবিদ্যায় বিএসসি: ৩ বছরের স্নাতক কোর্স এটি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সহ বায়ুমন্ডল সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় বিস্তারিত পড়ানো হয় এই কোর্সের অভ্যন্তরে।

কাজের সুযোগ: মহাকাশ গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিভাগ এবং খনির বিভাগ-সহ বিভিন্ন সরকারি শিল্পে আবহবিদদের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। মূলত চারটি দিকে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন আবহবিদ্যা নিয়ে পড়ার পর।

ব্রডকাস্টার: জনসাধারণের কাছে সময় মতো আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস প্রদান করা এঁদের কাজ। সম্প্রচার আবহবিদ হিসাবে বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিয়োতে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন।

গবেষক: এক জন গবেষক আবহবিদ আবহাওয়া বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেন। যেমন গুরুতর আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তন, প্রবল দুর্যোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া।

মিলিটারি এবং এয়ারলাইন ফোরকাস্টার: সামরিক এবং এয়ারলাইন পূর্বাভাসকারীরা একটি বিমান টেক অফ, অবতরণের জন্য জলবায়ু পরিস্থিতি পরীক্ষা করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কোনও কারনে যখন বিমান বাতিল করা হয়, তার সিদ্ধান্ত নেন এক জন মিলিটারি এবং এয়ারলাইন ফোরকাস্টার।

শিক্ষকতা: আবহবিদ্যা নিয়ে পিএইচডি পাশের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদালয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগ থাকে।

আরও পড়ুন
Advertisement